বিবিএন নিউজ ডেস্ক : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের পাশের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে পাঁচ শতাধিক মরা মুরগি উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় সাতজনকে আটক করা হয়। গত ১২ জুন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সাদা পোশাকে চালানো অভিযানে এসব মরা মুরগি উদ্ধার করা হয়। বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
![বিমানবন্দরে 'এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্ট' থেকে শতাধিক মরা মুরগি উদ্ধার](https://www.ittefaq.com.bd/assets/news_photos/2021/06/12/image-251022-1623499442.jpg)
পুলিশ সুপার বলেন, ওই রেস্টুরেন্টে মরা মুরগিগুলো নিয়ে আসা হতো। এরপর জবাই করে রেস্টুরেন্টে আসা ভোক্তাদের খাওয়ানো হতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশের একটি টিম সাদা পোশাকে ওই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক মরা মুরগি উদ্ধার করে। এ সময় রেস্টুরেন্টটিতে মরা মুরগি জবাই করার সময় সাতজনকে আটক করা হয়।
![প্রায় ৮০ ভাগ হোটেলেই বিক্রি হচ্ছে মৃত মুরগী! - প্রবাসীর দিগন্ত](https://www.probashirdiganta.com/uploads/images/image_380x240_5ce419bead61f.jpg)
তিনি বলেন, আমাদের সাদা পোষাকের সদস্যরা এই মরা মুরগী হাতেনাতে আটক করি। এয়ারপোর্টের কাস্টমস হাউজের পার্শ্ববর্তী এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্ট থেকে এই মুরগি আটক করা হয়। দুপুর আড়াইটায় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের একটি দল বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঢাকা কাস্টমস হাউজের পাশে অবস্থিত এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্টের ভিতর থেকে ১১৯টি মৃত মুরগী আটক করে।তিনি আরও বলেন, এসময় রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার, মৃত মুরগীর সাপ্লায়ার, রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি সহ ৭ জনকে আটক করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে, এই মুরগী রান্না করে ভোক্তাদের পরিবেশন করা হত। আটক অভিযুক্তদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, বৃটেন প্রবাসী অনেক যাত্রী অনেক সময় উক্ত রেষ্টুরেন্টে খেয়ে থাকেন বলে জানা গেছে। সুতরাং প্রবাসীদের মধ্যে যারা এতদিন বিভিন্ন সময়ে উক্ত রেষ্টুরেন্টে ভক্ষণ করেছেন তারা ঐসব মরা মুরগী গলাধকরণ করেছেন ইতোমধ্যেই।