• ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আর্জেন্টিনাকে রুখে দিলো চিলি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুন ১৪, ২০২১
আর্জেন্টিনাকে রুখে দিলো চিলি

বিবিএন ডেস্ক: ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে ড্র আদায় করে নিল চিলি।

সোমবার রিও ডি জেনেরিওর এস্তাদিয়ো অলিম্পিকো নিল্টন সান্তোসে আর্জেন্টিনা ও চিলির মধ্যকার গ্রুপ ‘বি’-এর ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
শুরু থেকেই চিলিকে চাপে রাখে আর্জেন্টিনা।

দ্বাদশ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল তারা। জিওভানি লো সেলসো দারুণ বুদ্ধিমত্তায় দূরের পোস্টে বল পাঠিয়েছিলেন, যেখানে ক্ষিপ্র গতিতে ঢুকে পড়েছিলেন লাউতারো মার্তিনেস।
কিন্তু চিলিয়ান ডিফেন্ডারদের বাধায় শেষ টোকা দিতে পারেননি ইন্টার মিলানের এই ফরোয়ার্ড।
চার মিনিট পর লো সেলসো আরও একবার সুযোগ তৈরি করেন।

এবার চালাকির সাথে ফ্লিক করে তিনি বল পাঠিয়েছিলেন গঞ্জালেসের দিকে। কিন্তু গঞ্জালেস নিচু শট নিলে চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো তা দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন। পরের কয়েক মিনিটে আরও দুইবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি গঞ্জালেস।

২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হারার পর টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আর্জেন্টাইনরা ৩৩তম মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায়। অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে টপ কর্নার দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলবিসেলেস্তেদের জার্সিতে ১৪৫তম ম্যাচ খেলতে নামা ফরোয়ার্ড। ব্রাভো লাফিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি মেসির ৭৩তম গোল এবং প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৩৯তম। দ্বিতীয়টি তাকে সাবেক ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ডের মালিক বানিয়ে দিয়েছে।

দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে চিলি তাদের সবচেয়ে বড় তারকা অ্যালেক্সিস সানচেজের অভাব তীব্রভাবে অনুভব করেছে। বিশেষ করে আক্রমণভাগে। ইনজুরির কারণে কোপার গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছেন চিলিয়ান স্ট্রাইকার। তবে ৫৬তম মিনিটে কপাল খুলে যায় লা রোজাদের। নিজেদের বক্সে চিলির ভার্গাসকে ফেলে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।

পেনাল্টি শট নেন আর্তুরো ভিদাল। কিন্তু চিলিয়ান মিডফিল্ডারের শট প্রথমে ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। কিন্তু ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এদুয়ার্দো ভার্গাস। চিলিয়ান স্ট্রাইকারের এটি জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৯তম এবং বিগত দুই বছরে প্রথম গোল। সমতায় ফেরার পর চিলির আক্রমণের ধার বেড়ে যায়।

গোল হজমের কিছুক্ষণ পর দুটি পরিবর্তন আনেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। লো সেলসোর বদলি হিসেবে নামেন আনহেল দি মারিয়া এবং লেয়ান্দ্রো পারেদেসের জায়গায় আসেন এজেকুয়েল পালাসিওস। শেষ কোয়ার্টারে মার্তিনেসের জায়গায় আসেন সার্জিও আগুয়েরো। এর কিছুক্ষণ আগে মেসির বাঁ পায়ের ট্রেডমার্ক কাটে বক্সে বল পেয়ে হেড নেন গঞ্জালেস। কিন্তু হেড নিচু রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর কার্যত দুই দলই তেমন কোনো আক্রমণ শানাতে পারেনি।