• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটিশ মন্ত্রীরা নিয়মিত অর্থ পান ইসরাইল থেকে!

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুন ৩, ২০২১
ব্রিটিশ মন্ত্রীরা নিয়মিত অর্থ পান ইসরাইল থেকে!

বিবিএন নিউজ ডেস্ক : ব্রিটেনের (যুক্তরাজ্য) মন্ত্রিসভার ৩৩ শতাংশ সদস্য ইসরাইল বা ইসরাইলপন্থি বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছ থেকে তহবিল পান। এই দলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও রয়েছেন। এ তথ্য প্রকাশ করেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাবিষয়ক ওয়েবসাইট ডিক্লাসিফাইড ইউকে।

ডিক্লাসিফাইড ইউকে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বছরের পর বছর ধরে ইসরাইল নানা উপায়ে ব্রিটেনের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের এভাবে অর্থ দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে। এ ধরনের প্রবণতাকে সম্প্রতি ‘ডিসগাস্টিং তথা বিব্রতকর’ বলে অভিহিত করেছেন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী।

ব্রিটিশ এমপি ও মন্ত্রীদের নানাভাবে তহবিল ও অর্থ দিয়ে থাকে ইসরাইলি গোষ্ঠীগুলো। এর মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে তাদের ইসরাইল সফরের ব্যবস্থা করা। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে এমনই পাঁচ দিনের এক সফরে ইসরাইল যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস। এর তিন বছর পর বরিস ব্রিটেনের পার্লামেন্টের সদস্য পদ লাভ করেন।

ডিক্লাসিফাইড ইউকের তথ্য মতে, ইসরাইল ভ্রমণের চার বছর পর বরিস জনসন ২০০৮ সালে ব্রিটিশ সংসদীয় রেজিস্টারে বিষয়টি জানান। তবে ওই ভ্রমণে কত খরচ হয়েছিল সে সম্পর্কে বরিস কিছু জানাননি, যা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের রীতি ও নীতির লঙ্ঘন। বরিসের সঙ্গে ব্রিটেনের সাবেক চ্যান্সেলর জর্জ ওসবার্ন, যিনি এই সফরে ছিলেন, তিনি ফিরে আসার দুই সপ্তাহ পরে এটি নিবন্ধভুক্ত করেছিলেন।

ইসরাইল সরকার ও কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইসরাইল (সিএফআই) যৌথভাবে বরিসের ওই সফরের ব্যয় বহন করেছিল। প্রভাবশালী ওয়েস্টমিনিস্টার লবি গ্রুপ তাদের পেছনে ইসরাইলি অর্থায়ন কারা করেন তা প্রকাশ করতে না চাইলেও ৮০ শতাংশ কনজারভেটিভ এমপি এ ধরনের অর্থায়নের কথা স্বীকার করেন। ভ্রমণ বা অন্য কোনো উপায়ে অর্থায়ন করে ইসরাইল ব্রিটেনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।