বিবিএন নিউজ ডেস্ক: বজ্রপাতে সিলেটসহ ৩ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে সিলেটে এক, জামালপুরে ছয় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজনের মৃত্যু হয়।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবুল মিয়া (৩৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কাকুনাখাই গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় নিজ ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ আছরের নামাজের পর স্থানীয় মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
জামালপুরের ইসলামপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। ইসলামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- পার্থশী ইউনিয়নের আব্দুল জব্বারের ছেলে এনামুল (৩৫), হাসান শেখের ছেলে কালা শেখ (৪৫), কাদের শেখের ছেলে শাহ জামাল (৩৮), প্রজাপতিরচরে কুদ্দুস মোল্লার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩০), গাইবান্দার আখির মাহামুদের ছেলে মহিজল (৫০) ও পলবান্দার কান্ডু শেখের ছেলে জবেদ আলী (৬৮)। এছাড়া আহতরা হলেন- মো. তিশু, মো. হামিদ, রাজা মিয়া, দেলোয়ারা বেগম ও ইনসাফ আলী। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজেদুর রহমান জানান, বৃষ্টির সময় পাথর্শী ইউনিয়নের হলহলিয়া ব্রিজের নিচে ছয়জন ধানকাটা শ্রমিক আশ্রয় নেন। পাশেই বজ্রপাতে হলে বিদ্যুতায়িত হয়ে এনামুল, কালা শেখ ও শাহজাহানের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে মো. তিশু, মো. হামিদ ও রাজা মিয়া আহত হন। পশ্চিম গামারিয়া জারুলতলা গ্রামে তাদের বাড়ি।
এছাড়া সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামে বৃষ্টির মধ্যে বাদাম তোলার সময় মো. বিল্লাল বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ইনসাফ আলী আহত হন। পলবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে মাঠ থেকে শুকাতে দেয়া খড় আনতে গিয়ে মো. মহিজল মারা যান। এ সময় তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম আহত হন। এছাড়া একই ইউনিয়নের বাতিকামারী গ্রামের জাবেদ আলী খড় তোলার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিকেলে জারুলতলা সেতুতে তিনজন ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আরো তিনজন বজ্রপাতে মারা যান। বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও শিবগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষক ও নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ও নাচোল উপজেলার কসবা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কৃষক মোবারকপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৭), একই ইউনয়িনের গুয়াবাড়ী চাঁনপুর গ্রামের আবু তালেবের স্ত্রী রহিমা বেগম (২৯), নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আঝোইড় গ্রামের ওবাইদুর রহমানের মেয়ে মারুফা খাতুন (৯)।
মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে মোবারকপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের পাশে বিল থেকে ধান কেটে বাড়ি আসার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই জালালের মৃত্যু হয়। আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় রহিমা বেগমের।
এদিকে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা মারুফার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে বাগানে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাত হলে শিশু মারুফার মৃত্যু হয়।