• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

দোয়ারায় ইফতারির সাথে নেশার ঔষধ খাইয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, আটক ৩

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মে ৯, ২০২১
দোয়ারায় ইফতারির সাথে নেশার ঔষধ খাইয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, আটক ৩

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ইফতারির সাথে নেশার ওষুধ খাইয়ে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা অভিযোগ উঠেছে । শুক্রবার দিবাগত-রাতে উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক রিপন মিয়াসহ আরও দুইজনকে আটক করেছে পূলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া , একই ইউনিয়নের বোগলা গ্রামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ফুফাতো ভাই ফয়সাল (১২) এর মাধ্যমে বাংলাবাজার ইউনিয়নের উরুরগাঁও গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে নেশার ওষুধ কিনে ওই মেয়ের বাড়িতে ইফতারি পাঠায়। ইফতারি খাওয়ার পর মেয়ে এবং দাদা অজ্ঞান হয়ে গেলে মধ্যরাতে এসে রিপন তাকে ধর্ষণ করে। ভোররাতে ঘুম ভাঙলে সুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আসলে সব খুলে বলে সে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক রিপনসহ তার ফুফাতো ভাই এবং নেশা বিক্রেতা জসিম উদ্দিনকে আটক করে।এসময় ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামাত জামাকাপড়সহ ইফতার সামগ্রী একটি ছুড়ি উদ্ধার করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা প্রদান করা হয়। জানা যায় দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর মা বাবা কেউ বেচেঁ নেই। মেয়েটির একমাত্র বৃদ্ধ দাদার আশ্রয়ে থাকেন। বাড়িতে তার বৃদ্ধ দাদা ব্যতিত পরিবারে আর কেউ নেই। এই সুযোগে ধর্ষক রিপন তার এক ফুফাতো ভাইয়ের মাধ্যমে ইফতারির খাবারের সাথে নেশা মিশিয়ে অজ্ঞান করে মধ্যরাতে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ।

স্থানীয়রা বলেন, রিপন এলাকার চিহ্নিত এক অপকর্মকারী। তার বিরুদ্ধে চুরি, চোরাকারবারিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। এসব অপকর্মের কারণে কিছুদিন পরপর সে জেল খেটে ফের এলাকায় ফিরে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।