কানায় কানায় পরিপূর্ণ ডাঃ ইদ্রীস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রিয় নেতা কে শেষ বারের মতো দেখার জন্য ও শেষ বিদায় জানাতে জনতার উপচে পড়া ভিড়।অগণিত মানুষের শোক, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দিলদার হোসেন সেলিম। সিলেট গোয়াইঘাটের রাধানগর গ্রামের নির্জন কবরেই নিশ্চিত হলো তার আসল ঠিকানা। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সদ্য প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিমের তিন দফা জানাজা শেষে আজ বাদ আছর চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন তার জন্মস্থান গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগরে।
জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধি ও নেতা সেলিমের প্রথম জানাযার নামাজ আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা হযরত শাজালাল (র.) দরগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হয়। এরপর পরপরই মরহুমের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত খেলার মাঠে। সেখানে বিকাল ৩টায় দ্বিতীয় জানাযার পর বাদ আসর মরহুম দিলদার হোসেন সেলিমের তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। শেষ জানাযার পর গোয়াইনঘাটের রাদানগরে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মার পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের শতশত মানুষ।
হাজার হাজার জনতার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে অধ্য শুক্রবার বাদ আসর ডাক্তার ইদ্রিস আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুৰ্থ জানাযার মধ্যে দিয়ে শেষ বিদায় জানালো তাদের মহান নেতাকে, শায়িত হচ্ছেন মা বাবা করের পাশেই।
দাফনকালে ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওসমান গনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল, উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লেবু, তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ, লেংঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আহমদ, রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন শিহাব,ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী,সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম, জেলা পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরান, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনজুর আহমদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, গোয়াইনঘাট প্রবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আলোকিত গোয়াইনঘাটের সম্পাদক আমির উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট নুর আহমদ, বিএনপি নেতা এম এ মতিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকী,জাহাঙ্গীর আলম, সেচ্ছাসেবকদল নেতা গোলাম সারোয়ার সোহেল, রুহুল আমিন,জেলা ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান, জসীম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমদ, সদস্য সচিব মুমিনুল হক, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সাইদুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, ডাক্তার নুর মোহাম্মদ, সিরাজ উদ্দিন, যুবদল নেতা আবুল কালাম, ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান হেলোয়ার, ইউসুফ আহমদ, সোহেল আহমদ, সাহেদ মেম্বার রিয়াজ মেম্বার সাব্বির আহমদ সানি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল আহমদ সদস্য সচিব মোসলিম উদ্দিন সহ আওয়ামী বিএনপি জামায়াত জমিয়ত সহ সর্ব সাধারণ।
উল্লেখ্য, দিলদার হোসেন সেলিম বুধবার (৫ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিলেট মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।দিলদার হোসেন সেলিম দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস-সহ নানা রোগে ভোগছিলেন। সম্প্রতি চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন। মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে সিলেট মাউন্ড এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।