মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলামের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও সেখানে ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘হেফাজত নেতারা যেসব কাজ করেছেন তার কিছু কাজ ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীরা এসব জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর করেছে। পরে, তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা বুধবার বিকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী যুগান্তরকে বলেন, আলোচনা শুরু হয়েছে। এখনই কোনো সিদ্ধান্ত আমরা জানাইনি। উনারা বলছেন, সবার কাজেই তো কিছু ভুল হয়। আর জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর এসব অনুপ্রবেশকারীরা করেছে। আমরা বলেছি, ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। আবার সন্দেহ করে কাউকে ধরলেও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি ও কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়াসহ চারটি দাবি জানান হেফাজত নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছে- হেফাজতের আলেম নেতাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া। গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করা। ২০১৩ সালের মামলাগুলো প্রত্যাহার করা এবং দ্রুত কাওমি মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়া।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী দাবিগুলোর বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের এই চার দাবি মন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, আশ্বাসও দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজী, মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিমউদ্দিন প্রমুখ।