সিলেট প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষকালে প্রতিপক্ষের গুলিতে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোর নিহত হয়েছে। তার নাম সুমেল আহমদ (১৮)। সে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
আজ শনিবার বিকেল ৩টায় চৈতননগর গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) সড়কে মাটিকাটা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আরও তিনজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রামের ভেতদর দিয়ে একটি সড়ক নামা টুকেরবাজার মূল সড়কে গিয়ে যুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি এ সড়কে নিজের গোত্রের লোকজন নিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন, একাধিক ঘটনায় আলোচিত গ্রামের সাইফুল ওরফে লন্ডনি সাইফুল।
আজ সড়কের পাশে গ্রামের নজির মিয়ার ধানী জমি থেকে তারা মাটি কাটতে গেলে অপত্তি করেন তিনি। এ নিয়ে উত্তেজজনার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জমিয়ে পড়ে। এসময় নিজের অগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাইফুল গুলি ছুড়েন।
এসময় মাটিতে লটিয়ে পড়েন পতিপক্ষের কয়েকজন। এদের মধ্যে মারা যায় স্কুলছাত্র সুমেল। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সাইফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এলাকার মুরব্বীদের দেয়া পূর্ব নিধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সড়কের মাটি কাটতে গেলে তারা নজিরের লোকজনেরা আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হন। এসময় নজিরের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
নজির উদ্দিন জানান, ‘আমাদের কৃষি জমি থেকে সাইফুল জোরপূর্বকভাবে মাটি কাটছে খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে বাধা দেই। এসময় সাইফুল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। সাইফুলের করা গুলিতে আমার ভাতিজা সুমেল মারা যায়। এছাড়া আমার প্রবাসী ভাইসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হই। এছাড়া আমাদের পক্ষের আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
সংঘর্ষে একজন নিহত হবার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।