হাওরে নতুন বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার বোরো চাল সংগ্রহ ও দাম নির্ধারণ করতে খাদ্য পরিধারণ ও মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ওই সভায় ছয়জন মন্ত্রী অংশ নেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক চালের মজুত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁরা মজুত এত কম কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, বন্যায় গত বছর ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে উৎপাদন কম হয় এবং চালের দাম বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও কেন তা কার্যকর করতে ছয় মাস সময় লাগল। তিনি বলেন, সরকারি গুদামে কমপক্ষে ১০ লাখ টনের মজুত থাকা উচিত ছিল।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মন্ত্রীদের প্রশ্নের বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি। তাঁরা সন্তুষ্ট হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ভারত থেকে সরকারিভাবে যে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা দ্রুত চলে আসবে। সংকট থাকবে না।
কমিটির সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ টাকা, আতপ চাল ৩৯ টাকা ও ধান ২৭ টাকা কেজি দরে সংগ্রহের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এই সংগ্রহ মূল্যের ব্যাপারে আপত্তি তুলে বলা হয়, গত বছর বোরোতে ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ বছর এক লাফে চার টাকা বাড়িয়ে দিলে তা মূল্যস্ফীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চালকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিলমালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ মনে করেন, সরকার ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিলে লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে।