বিবিএন নিউজ ডেস্ক: ভ্যাকসিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না বলে দাবি করেছেন ব্রিটেনের ন্যাশন্যাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর ইসলামিক স্কলার (আলেম) ও শীর্ষ মুসলিম কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে রোজাদার মুসলমানদের সুবিধার্থে রাত ১০ টার পরেও কিছু ভ্যাকসিন কেন্দ্র খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার, যাতে করে ইফতারের পর তারা ভ্যাকসিন নিতে পারেন।
ব্রিটেনের মোট মুসলমান জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ পাকিস্তানি এবং ১৫ শতাংশ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যুহার ছিল সবচেয়ে বেশি এ দুই সংখ্যালঘু কমিউনিটিতে। ব্রিটেন ও বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের চলাকালেই রমজান মাস আসছে। ব্রিটেনে ১২ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।
ব্রিটেনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত চিকিৎসক ডা. ফারজানা হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,ভ্যাকসিনে কোনও ধরনের নিউট্রেশন নেই। তাই আপনি যদি ভ্যাকসিন নেওয়ার মেসেজ পান, তাহলে রোজা রেখেও ভ্যাকসিন না নেওয়ার কোনও কারণ নেই। যারা দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন তাদের উচিত ভ্যাকসিন নেওয়া।
ফারজানা হোসেন বলেন, কোরআনে বলা হয়েছে, প্রাণরক্ষা সবচেয়ে বড় বিষয়। ভ্যাকসিন এক একজন মানুষ থেকে শুরু করে পুরো মানবতাকে রক্ষা করে। তাই মুসলমান হিসেবে ভ্যাকসিন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
এনএইচএস-এর বিভাগীয় প্রধান ইমাম ইউনুস দুধওয়ালা বলেছেন, বেশিরভাগ মুসলিম আলেমরা বলছেন,রোজা রেখে ভ্যাকসিন নেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ ভ্যাকসিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ভ্যাকসিনই এখন পর্যন্ত নিজের ও প্রিয়জনের জীবনরক্ষার কার্যকর প্রায়োগিক মাধ্যম।
ব্রিটেনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ডা. নিকি কানানী বলেছেন, ব্রিটেনের সব ধর্ম বিশ্বাসের মানুষের এগিয়ে আসা উচিত ভ্যাকসিন নিতে।
এনএইচএসের অবজারভেটরি বিভাগের প্রধান ডা. হাবিব নাকবি বলেছেন, ব্রিটেনের মুসলিম আলেম ও মসজিদ কর্তৃপক্ষগুলো নিশ্চিত করেছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়া বা করোনা শনাক্তে লিটারেল ফ্লো টেস্ট রোজা ভঙ্গের কারণ হবে না।