• ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মপাশায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুই পুলিশ প্রত্যাহার,ইউপি আ’লীগ সাঃ সম্পাদক বহিষ্কার ও আটক  

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৭, ২০২১
ধর্মপাশায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুই পুলিশ প্রত্যাহার,ইউপি আ’লীগ সাঃ সম্পাদক বহিষ্কার ও আটক  
লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ : ঢাবি ছাাত্রলী নেতা  লাঞ্ছিত ও জোরপূর্বক ক্ষমা চাওয়ানো এবং পুলিশ কর্তৃক হাত কড়়া পরানোর ঘটনার জেরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার   ও আটক এবং দুই পুলিশ কে প্রত্যাহার করা হয়েছে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও এফ রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল খান তার ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের দেশজুড়ে তাণ্ডবের কিছু ছবি  প্রকাশ করেন। এতে  জয় শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল  হাসেেম ও  তার   মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলে আল মোজাহিদ তার দলবল নিয়ে ঢাবি ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং পুলিশের সামনেই হাতকড়া পরিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন।

এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানার এসএসআই আনোয়ার হোসেন ও এসআই জহিরুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ধর্মপাশা উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হরিপুর সাতঘরিয়া গ্রামের আবুল  হাসেমের

 ছেলে আল মোজাহিদ সাবেক শিবির নেতা। তার সাথে ঢাবি ছাত্র আফজাল খানের বিরোধ ছিল। আফজাল হেফাজতের তাণ্ডবের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে মোজাহিদ তার দলবল নিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে পুলিশও তাদের পক্ষ নিয়ে ওই ছাত্রকে হাতকড়া পরিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। পরে থানার ওসির নির্দেশে তারা ওই ছাত্রকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় থানায় নিয়ে যান। রাতে তার পরিচয় পেয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ ঘটনা প্রকাশ পেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এ ঘটনায় নিন্দা জানান।
জানা গেছে, আল মোজাহিদ নিজ এলাকার ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা আফজল খানের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ আনেন। পরে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে জয়শ্রী বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে হেনস্তা করা হয়। খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে এসএসআই আনোয়ার হোসেন ও এসআই জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। তারা মোজাহিদ ও তার উত্তেজিত সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে আফজাল খানকে হাতকড়া পরায়। পুলিশের সামনেই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই তাকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় করজোড় করে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। পরে হাতকড়া পরিয়েই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযুক্ত আল মোজাহিদের পিতা  জয় শ্রী   ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম সম্পর্কে স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের চাচা। তিনি একসময় জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

ধর্মপাশা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে।

পুুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ধর্ম পাশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও  সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছেন এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক করোনা আক্রান্ত থাকায় যৌথ বিবৃতি দেয়া সম্ভব হয়নি বলেও জানান।