• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ইংল্যান্ডে লকডাউনের এক বছর পূর্ণ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ২৪, ২০২১
ইংল্যান্ডে লকডাউনের এক বছর পূর্ণ

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: ইউকে-তে লকডাউনের এক বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার নীরবতা পালন করছে দেশটির মানুষ। রাত ১২ টায় করোনা মহামারিতে মৃত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক যোগে এক মিনিট পর্যন্ত নীরবতা পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক বছর আগে করোনার লাগাম ধরে রাখতে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ দেশটিতে জাতীয় লকডাউন জারি করা হয়। ওই সময় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিলো। লকডাউন জারি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টার ফলে আজকের এই অবস্থায় আসা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেনে দেশটির বিষেশজ্ঞরা।

জানা গেছে, এ পর্যন্ত বৃটেনে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ১৭২ জন। লকডাউনের সময় মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ৩৬৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ লক্ষ ১ হাজার ৯২৫ জন। লকডাউন জারি না থাকলে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।সে সময় লকডাউনের কারণে হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে যায়। অজানা ভয়,উৎকন্ঠায় ঘরবন্দী হয়ে পড়ে মানুষ। এখনও দেশটিতে লকডাউন জারি রয়েছে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান-পাট ছাড়া মার্কেটসহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে মুখে মাস্ক ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক রয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ হার্ডলাইনে রয়েছে। গত এক বছরে লকডাউনের কারণে বৃটেনের অর্থনীতিতে বড় ধরণের ধাক্কা লাগে। যা সামাল দিতে সরকার একের পর এক পরিকল্পনা ও সহযোগীতা করে যাচ্ছে। যদিও মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে লকডাউন আর কঠোর পদক্ষেপের কারণে মৃত্যু ও আক্রান্তের লাগাম অনেকটা আটকানো সম্ভব হয়েছে। ব্রিটেনের ১০২ বছরের ইতিহাসে করোনায় ২০২০ সালে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালকে দেশবাসী আতংকের বছর হিসাবে চিহ্নিত করেছে। দেশটি জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে ১৯১৮ সালে স্প্যানিস ফ্লুতে ৮৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে একদিনে দুই হাজার মানুষের মৃত্যু দেখেছে দেশবাসী।মানুষের আহাজারিতে আকাশ
গত রবি ও সোমবার বৃটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ মাসে সবচেয়ে কম লোক মারা গেছে। গত রোববার মৃত্যুবরণ করেন ৩৩ জন ও সোমবার মৃত্যুবরণ করেন ১৭ জন। গত সেপ্টেম্বর মাসের পর এটাই সর্বনি¤œ। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ জন। রোববার ছিলো ৫ হাজার ৩১২ জন, শনিবার ছিলো ৫ হাজার ৫৮৭ জন। বর্তমানে দেশটির মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ কেটি ৭৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৭৬ জন। একই সাথে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন ২২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৪ জন।সূত্রঃ মানবজমিন।