নিজস্ব প্রতিবেদক:সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসত বাড়িতে হামলা লোপাটসহ তান্ডব কান্ডে নাটের গুরু প্রধান আসামি সেই শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বারকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিলেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।,
রবিবার বিকেলে শাল্লা থানা পুলিশ আমলগ্রহকারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (শাল্লা যোন) স্বাধীনকে হাজির করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা তাকে কারাগাওে প্রেরণণের আদেশ ঈস্খদান করেন।
শাল্লা থানার মামলার তদনকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার জানান, রবিবার স্বাধীন মেম্বার সহ ওই ঘটনায় আগে পরে ৩৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।,
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো বলেন, রবিবার বিজ্ঞ আদালতে স্বাধীনকে ১০ দিনের ও অন্যান্য আসামিদের ৫ দিনের পুলিশী রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানী হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ হিন্দু যুবকের ফেসবুক ষ্যাটাস ও হেফাজতকে ইস্যু হিসাবে ব্যবহার কওে জলমহাল দ্কন্ধের জের ধরে শাল্লার নোয়াগাঁও এ হিন্দু ধর্মালম্বীদের বসত বাড়িতে হামলা লুপাট সহ তান্ডব চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
ওই ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাতে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম একটি মামলা করেন। মামলায় দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে প্রধান আসামি করা হয়। স্বাধীন নিজেকে ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে স্বাধীনকে েেগফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট।
এরপুর্বে কয়েদফায় র্যাব, পুলিশ ওই মামলায় আরো ৩২ আসামিকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।,
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন: রবিবার শাল্লার ঘটনা নিয়ে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম বলেন, কে কি দল করেন সেটা দেখার বিষয় নয়, ওই ঘটনায় অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে যে বা যারাই ঘটনার নেপথ্যে কিংবা প্রকাশ্যে জড়িত থাকুক না কেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দ্রæততম সময়ের মধ্যে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।,
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানসহ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।