• ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলহানী হলে বৃহত্তর আন্দোলনে ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারী

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ১৩, ২০২১
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলহানী হলে বৃহত্তর আন্দোলনে ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারী

 

লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ : বর্ধিত সময়ে সুনামগঞ্জে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে  সংবাদ সম্মেলন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার সকাল ১১ টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। বেড়িবাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার ১২ দিন পরও কাজ সম্পন্ন না করা, কাজে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জরুরী ভিত্তি জেলার সকল বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলন করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তাগাদা জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় জেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল অরক্ষিত বলে দাবি তাদের। অনিয়ম দুর্নীতির কারনে হাওর ডুবির ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্টদের জবাদিহীতার আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারী প্রধান করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সুকেন্দু সেনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জে চলমান বাঁধের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ করার কথা। দেড়িতে কাজ শুরু করায় নির্ধারিত সময়ে কাজ দৃশ্যমান করতে পারেনি পিআইসিরা। পরে ৭ মার্চ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৪ মার্চ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্র্র্তৃক বলা হয় জেলায় ৭৩ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে,অবাস্তব ও মনগড়া । এখনও বেশিরভাগ উপজেলায় বাঁধে মাটি ফেলার কাজ বাকি। ধর্মপাশা, শাল্লা, দিরাই, তাহিরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, বিশ^ম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলায় কাজের অগ্রগতি খুবই হতাশা জনক। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিনই বাঁধের কাজ পরিদর্শণ করছেন । সরেজমিন পরির্দশণ করে জেলাব্যাপী ৫০-৫৫ ভাগ বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, পাউবো অগ্রগতি প্রতিবেদনে বাঁধের কাজ শেষের দিকে উল্লেখ করলেও এখনও প্রায় বাঁধে মাটি ফেলার কাজ চলমান রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজার উন্মুক্ত রয়েছে। বাঁধের স্লুভ, কম্পেকশন, দুরমুজ, ঘাস লাগানো ও আঁড় বাঁধার কাজ বাকি রয়েছে। বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে পিআইসিদের সঠিক সময়ে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। পিআইসি প্রথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঠিকাদারী প্রথা ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বাঁধের নামে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা লুপাঠে পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও অনিয়মের কারনে হাওর ডুবির ঘটনা ঘটলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়াসহ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয় সংবাদ সম্মেনে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহভাপতি অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার দাস রায়, উপদেষ্টা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী বানু, রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী, সদর উপজেলা কমিটির সহ সভাপতি চন্দন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক শহীদনূর আহমদ, মানব চৌধুরী প্রমুখ।