• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

লাফার্জের ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রি বন্ধের দাবিতে ছাতকে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ৯, ২০২১
লাফার্জের ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রি বন্ধের দাবিতে ছাতকে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকস্থ লাফার্জ হোলসিমের ব্যবসায়িক কার্যকলাপে ফুঁসে উঠেছেন ছাতক, কোম্পানিগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার এলাকার ব্যবসায়ীবৃন্দ। লাফার্জ-হোলসিম কর্তৃপক্ষ খোলাবাজারে ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রি শুরু করায় এখানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সকালে লাফার্জের ক্রাশিং চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রি বন্ধের দাবীতে ছাতক শহরে ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীবৃন্দ। এর আগে এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের একাধিক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরেও তারা স্মরকলিপি দিয়েছেন। মঙ্গলবার মানববন্ধন চলাকালে সভাপতিত্ব করেন ছাতক লাইমস্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আহমেদ শাখাওয়াত চৌধুরী সেলিম। বক্তব্য রাখেন, ছাতক পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, ছাতক ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আহমদ, পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু মিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামছু মিয়া, পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এড.সুফী আলম সুহেল, ব্যবসায়ী কামাল চৌধুরী, মাও.আকিক হোসেন,শাহরিয়ার ইনু, সাদিক মিয়া তালুকদার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন ও আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে লাফার্জ-হোলসিম কর্তৃপক্ষ সিমেন্ট ও ক্লিংকার উৎপাদনের নামে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে কমমূল্যে আমদানীকৃত চুনাপাথর ক্রাশিং করে খোলাবাজারে বিক্রি করছে। বৃহত্তর ছাতকের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের রুটি-রোজি কেড়ে নিতে লাফার্জ-হোলসিম কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম শুরু করেছে। লাফার্জ-হোলসিমের সিমেন্ট ও ক্লিংকার উৎপাদনের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে চুনাপাথর ক্রাশিং করে খোলাবাজারে বিক্রি করছে এবং এটি বৃহৎ আকারে পরিচালনারও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে লাফার্জ-হোলসিম। এতে ছাতক, কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার এলাকার কয়েক শ’ ব্যবসায়ী ও সহস্রাধিক শ্রমিক পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে। ক্লিংকার ও সিমেন্ট উৎপাদনের নামে অপেক্ষাকৃত কম রাজস্ব দিয়ে এবং ন্যুনতম পরিবহন খরচে ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানী করছে লাফার্জ-হোলসিম। পক্ষান্তরে বানিজ্যিকভাবে আমদানীর কারনে উচ্চ হারে সরকারকে ভ্যাট এবং অধিক পরিবহন খরচ দিতে হচ্ছে এখানের ব্যবসায়ীদের। যে কারনে খোলা বাজারে বর্তমান মূল্যের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে ক্রাশিং চুনা পাথর বিক্রি করার সুযোগ নিচ্ছে লাফার্জ-হোলসিম। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে এলাকার চুনাপাথর ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারছে না। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যবসায়ী ইলিয়াস চৌধুরী, অরুন দাস আব্দুল জলিল আজাদ,,হাজী বাবুল মিয়া, হাজী আবুল হায়াত, মুরাদ হোসেন, লিটু মিয়া, হাজী বুলবুল আহমদ, আলী আমজাদ, , নাজিমউদ্দীন, সাহেদ আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেকিম,পৌর কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া সহ ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পাথর ব্যবসায়ী সমিতি, লাইমস্টোন আমদানীকারক সমিতি, লালপাথর ব্যবসায়ী সমিতি, বালু ব্যবসায়ী সমিতি, নৌ-পরিবহন সমিতি, লেবার সমিতি এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধনে ব্যবসায়ীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন। শহরের দোকান-পাট বন্ধ করে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ’র এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রয়োজনীয় সকল সংস্থার অনুমতি নিয়েই ক্লিয়ার সাইজ অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা পরিচালনা করছে লাফার্জ-হোলসিম।