• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণে রাতেরবেলা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
ছাতকে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণে রাতেরবেলা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

 

ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকে উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ফাইলিংয়ের জন্য পিলার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আই ট্রেডিং এন্ড কোম্পানি। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিম্নমানের বালু-পাথর ও জং ধরা রড দিয়ে রাতের বেলা কাজ চলছে পিলার নির্মানের। কার্যাদেশ বহির্ভূতভাবে বালু- পাথর, সিমেন্ট ব্যবহার করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।

টিলার নিম্নমানের ও স্বল্প মূল্যের মরা লাল পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে পাইলিংয়ের পিলার নির্মানে। ইতিমধ্যেই এসব পাথর ব্যবহার করে প্রায় ৯০টি পিলার নির্মাণ করেছে তারা। এতে সিমেন্টের ব্যবহার কম হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। টিলার নিম্নমানের পাথরের উপর ভাঙ্গা চুনা পাথর রেখে লাল পাথর গুলো ঢেকে রাখা হয়েছে সাইডে। রাতেই এই লাল পাথর ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আবারো ওইসব নিম্নমানের পাথর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করে একই পন্থায় লাল পাথর ঢেকে রাখা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে এরকম অনিয়ম- দূর্নীতির বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কোনো তদারকি পরিলক্ষিত হয়নি। শনিবার বিকালে অনিয়মের মাধ্যমে পাইলিং পিলার টালাইয়ের কাজ দেখে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন কাজে আপত্তি জানালে টনক নড়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।

রাতেই তরিগড়ি করে উপজেলা চত্বরে মজুত রাখা নিম্নমানের লাল পাথর গুলো ধৌত করে পৃথক বস্তায় ভর্তি করতে দেখা গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে। দ্রুত তারা পাথর গুলো সাইড থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে। কিন্তু ৬কোটি ৬লক্ষ ৪২হাজার ৭৭১ টাকার কাজে ইতিমধ্যে ৯০টি পাইলিং পিলার তৈরি হয়ে যাওয়ায় পুরো কাজের গুনগত মান নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কাজের শুরুতেই গলদ রয়েছে। ছাতক পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন জানান, এসব পিলার নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করছে। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর মিয়া জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। লাল পাথর দিয়ে কাজ করতে দেয়া হবেনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি দেখবেন। মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।