রেজাউল করিম রেজা, ছাতক :সুনামগঞ্জের ছাতকে একটি বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ৩০ ঘন্টা পর শুক্রবার সকাল ১০টায় জোড়া-তালি দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ব্রিজের পাঠাতনের জোড়া- তালি দেয়ার ৫ ঘন্টা পর ভারি যানবাহনের চাঁপে ঝালাই স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। ফের ব্রিজটি ভেঙ্গে ছাতকের সাথে সারা দেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় বার বার এমন হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা যায়, ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে এক সাথে ৬টি নতুন ব্রিজের নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ৪ মাস আগে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুরাতন ব্রিজগুলো ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৬টি ব্রিজের পাশে যানবাহন যাতায়াতের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছে। এ রাস্তার মধ্যে একটি ছাড়া বাকী ৫টিতে রয়েছে বেইলী ব্রিজ। বেইলী ব্রিজগুলোসহ ব্রিজের সংযুক্ত রাস্তা নাজুক। ভারি যানবাহনের চাঁপে রাস্তা ও বেইলী ব্রিজ আছে ঝুঁকিতে। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে বিকল্প রাস্তায় যানচলাচলে মারাত্বক ব্যঘাতের সৃষ্টি হবে। ২২-ফেব্রুয়ারি রাত ৩টায় সড়কের মাধবপুরের অস্থায়ী বেইলী ব্রিজের সাপোর্ট এঙ্গেল খসে মাঝামাঝি অংশ ভেঙ্গে পড়ে। এতে ১৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার দুইদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাত ২টার দিকে একটি অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক অস্থায়ী এ বেইলী ব্রিজের উপর উঠলে পাঠাতন খসে আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে আবারও চরম জন দূর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী সাধারণের। অবশেষে দীর্ঘ ৩০ ঘন্টা পর শুক্রবার সকাল ১০টায় পাঠাতনে জোড়া-তালি দিয়ে যানচলাচল শুরু হয়। প্রায় ৫ ঘন্টা পর ভারি যানবাহনের চাঁপে জোড়া-তালির স্থানটিতে ঝালাইয়ে ফাঁটলের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত কার্যকরি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সারা দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন আবারও চরম ভোগান্তিতে পড়বে যাত্রী সাধারণ। আটকা পড়বে শত শত বালবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ছাতকের উপ- প্রকৌশলী মাসুদ সিদ্দিকী বলেন, শুক্রবার কাল ৮টা থেকে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন।