• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা, সমাবেশ পন্ড

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা, সমাবেশ পন্ড

পুলিশের লাঠিপেটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল থেকেই বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে কয়েক শ নেতা-কর্মী অংশ নেন।

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় জলকামান ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই প্রেসক্লাব এলাকা ও এর আশপাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় এই সড়ক ধরে সাধারণ মানুষকেও হেঁটে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়।

সমাবেশে জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানুল্লাহ আমান এবং ইশরাক হোসেনসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তাঁর রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাঁদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। গত মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়নি।