লতিফুর রহমান রাজু,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত নদী যাদুকাটার তীর কেটে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গিয়ে হামলার স্বীকার হয়েছেন তাহিরপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ এর তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন। সাংবাদিক কামাল হোসেন উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় যাদুকাটা নদীর তীর কেটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি বালুখেকো চক্র। খবর পেয়ে সাংবাদিক কামাল হোসেন ছবি তুলতে গেলে ঘাগটিয়া গ্রামের রইস মিয়া,দ্বীন ইসলাম ও মাহমুদুলের নেতৃত্বে বালু খেকো চক্রটি তার উপর অতর্কিত হামলা করে মারাত্মক আহত করে নদীর পাড় থেকে টেনে হিছড়ে ঘাগটিয়া বাজারে এনে গাছের সঙ্গে রশ্মি দিয়ে বেধে রেখে নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে সংবাদ পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর সদর হাসপাতালে জররি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
সাংবাদিক কামাল হোসেন জানান, নদীতে তীর কেটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে বালু খেকো ঘাগটিয়া গ্রামের রইস মিয়া, দ্বিন ইসলাম, মাহমুদুল চক্ররা তার উপর হামলা করে তাকে মারাত্মক আহত করে এবং তার মোবাইল,ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল তারা ছিনিয়ে নেয়।
বাদাঘাট পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন তার খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি ।
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুও সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবী করেন