বিবিএন নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন। স্কুল বন্ধ। তাই ছেলেমেয়েদের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ঘরে বসে সন্তানদের দেখভাল ও অনলাইনে স্কুলের পড়াশোনা করাতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যের সব অভিভাবককে। এ থেকে বাদ পড়েননি রাজপরিবারের বধূ ডাচেস অব ক্যামব্রিজও। আর এটি করতে গিয়ে তিনি ‘পরিশ্রান্ত’। বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
লকডাউনে বাচ্চাদের লালনপালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে অভিভাবেকরা ভিডিও কলে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখানে যুক্ত হয়েছিলেন ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন। মজা করে তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের চুল কাটতে গেলে তারা ‘ভয়ে’ পালায়। আর পড়াশোনা করাতে গিয়ে তিনি টের পেয়েছেন, গণিতে তাঁর অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে তিনি নিজেকে মাইনাস ৫ দেবেন।
গত মঙ্গলবার কেট মিডলটন তিনজন অভিভাবকের সঙ্গে এ আলোচনায় যুক্ত হন। এই তিনজনের সন্তানই লন্ডনের উত্তর–পশ্চিমে কিংসবারিতে রো গ্রিন জুনিয়র স্কুলে পড়ে। এই আলোচনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেলিসা লোজমোরও ছিলেন।
এই আলোচনায় একটি পর্ব ছিল ‘শো অ্যার্ড টেল’ (দেখাও ও বলো)। এই মহামারির সময়ে প্যারেন্টিং বলতে কী মনে হয়, তা এক শব্দে অভিভাবকদের লিখতে বলেন লোজমোর। কেট মিডলটন লিখেন ‘পরিশ্রান্ত’। অন্য অভিভাবকদেরও একই অভিজ্ঞতা। একজন লিখেন ‘অস্থির’, একজন লিখেন ‘ধৈর্য’ একজন লিখেন ‘চ্যালেঞ্জিং’।
নিজের বক্তব্যের সপক্ষে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেট মিডলটন বলেন, ‘আমি মনে করি অভিভাবক হিসেবে প্রতিদিনই দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে অন্যদের তুলনায় আমাদের মনে হয় অতিরিক্ত ভূমিকা রাখতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই লকডাউনে আমি নরসুন্দরও হয়েছি। আর আমাকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমার সন্তানেরা চরম ভয় পেয়েছে। আমাদের শিক্ষকের ভূমিকাও পালন করতে হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিভিন্নভাবে আমি চেষ্টা করেছি… আমি ক্লান্ত।’
এ আলোচনায় যুক্ত চার সন্তানের অভিভাবক নিকোল সেইদমান বলেন, তাঁর অভিজ্ঞতাও ক্যাথরিনের মতোই। বলেন, তিনি এখন একজন পূর্ণকালীন শিক্ষক। আরও কিছু করার চেষ্টা করছেন তিনি।
আলোচনার আরেকটি পর্ব ছিল লকডাউনের এই অবস্থায় কে বেশি সহায়তা করছে? এর জবাবে কেট মিডলটন জানান, তাঁর স্বামী প্রিন্স উইলিয়াম।
গত এপ্রিলে সন্তানদের ঘরে স্কুলিংয়ের বিষয়ে কেট মিডলটন বলেছিলেন, বিষয়টি ‘চ্যালেঞ্জিং’, কিন্তু তাদের ‘কঠোর রুটিনের’ মধ্যে রাখা হয়েছে। কেট-উইলিয়াম দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। বড়টি প্রিন্স জর্জ (৭), মেজটি প্রিন্সেস শার্লট (৫) ও ছোট ২ বছরের প্রিন্স লুইস।(ওয়ানবাংলা )