• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ছাতকের লোক কবি মকদ্দস উদাসী

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৪, ২০২১
কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ছাতকের লোক কবি মকদ্দস উদাসী

সিলেট প্রতিনিধি:  দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রবর্তিত ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক-২০২১’-এর জন্য বিশিষ্ট লোককবি শিল্পী মকদ্দস আলম উদাসীকে মনোনীত করা হয়েছে। ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মনোনীত লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রখ্যাত লেখক, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, ভাষা সৈনিক দেওয়ান আহবাব চৌধুরী বিদ্যাবিনোদ (এমএলএ)’র নামে কেমুসাস এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেমুসাস’র বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।

লোক কবি মকদ্দস আলম উদাসীর জন্ম ১৩৫৪ বাংলায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরবাড়া গ্রামে। তার পিতা মুজেফর আলী কবিরাজ, মাতা সুখিরমা খাতুন। তিনি বারো বছর বয়সে গান লেখা শুরু করেন। প্রকাশিত গ্রন্থ-পরার জমিন (গানের বই, মার্চ ১৯৯৯), বিরহ লহরী (গানের বই, অক্টোবর ২০০২), উদাসী সংগীত (গানের বই, মে ২০১৭), নির্বাচিত গান ( মে ২০১৭)। তিনি প্রায় দেড় হাজার গান রচনা করেছেন। সেই সকল গান দিয়ে বন্যা, ট্রলার, কোলাকানীর বাঁক, বিরহ লহরী ১ম থেকে ৫ম খন্ড, উদাসী সংগীত ১ম থেকে ৭ম খন্ড নামের পান্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি নাগরী লিপ্যান্তরে অত্যন্ত দক্ষ। বেশ কিছু নাগরী বইয়ের তিনি লিপ্যান্তর করেছেন। মকদ্দস আলম উদাসী চরবারা মতিনিয়া লুৎফুল উলুম মাদরাসায় সাফেলা পাঞ্জম পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর এক বছর জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর মাদরাসায় পড়ার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন। তারপর চলে আসেন ছাতকের দূরবিন টিলায়। তিনি সংগীতে দূরবিন শাহর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। মকদ্দস আলম নিজে গান লেখার পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া লোককবিদের গানও সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত তিনি জগন্নাথপুরের রানিগঞ্জের রহমতুল্লাহ শাহ’র ১১৫ টি, ছাবাল আলীর ৪৭ টি গান সংগ্রহ করেছেন। তার আধ্যাত্মিক গুরু ছাতক উপজেলার কামারগাঁও-এর শুকুর আলী চিশতি। মকদ্দস আলম উদাসী বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুরে একটি ভাড়া ঘরে বাস করেন।