সিলেট প্রতিনিধি :সিলেট সংবাদদাতা: সিলেটের জকিগঞ্জে খাস কামরায় ঢুকে বিচারককে ঘুষ দিতে গিয়ে আটক হন থানার এসআই রাজা মিয়া। এতে বিব্রতবোধ করেন ওই বিচারক। তিনি কৌশলে এসআই রাজা মিয়াকে এজলাসে নিয়ে এসে আটকের নির্দেশ দেন। পরে অবশ্য আদালত পুলিশ ও থানা পুলিশের অনুরোধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের শর্তে রাতে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এ ঘটনায় হতভম্ব হয়েছেন জকিগঞ্জের আদালতে উপস্থিত থাকা আইনজীবীরা। আদালতে উপস্থিত থাকা আইনজীবীরা জানিয়েছেন- জকিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ৫৮/২০২০নং সিআর মামলা তদন্ত করে একজন আসামিকে বাদ দিয়ে ৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন জকিগঞ্জ থানার এসআই রাজা মিয়া। কেন একজনকে ছাড়া হয়েছে জানতে চেয়ে আদালত মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানীর দিন ধার্য করেন। গত মঙ্গলবার ধার্য তারিখের দিন অনুমতি ছাড়া এসআই রাজা মিয়া বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগরের খাস কামরায় ঢুকে উৎকোচ প্রদানের চেষ্টা করেন।
বিচারক এসআইকে কৌশলে এজলাসে নিয়ে যান। সেখানে আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজনদের সম্মুখে এসআই রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারপূর্বক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিলে আদালতের সিএসআই ও রাজা মিয়া কান্নাকাটি করে করজোড়ে ক্ষমা চাইলেও আদালতে রাত ৮টা পর্যন্ত তাকে আটক রাখা হয়। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ও ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের ও বিচারকের খাস কামরায় অবস্থান করে বিভাগীয় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার শর্তে তাকে মুক্ত করেন। এ অভিযোগে বুধবার এসআই রাজা মিয়াকে সিলেট পুলিশলাইনে ক্লোজ করা হয়। ক্লোজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। তিনি জানিয়েছেন- এসআই রাজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।