• ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে এসে বাধার মুখে মামুনুল হক, মঞ্চে উঠতে পারেননি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৩, ২০২১
সিলেটে এসে বাধার মুখে মামুনুল হক, মঞ্চে উঠতে পারেননি

সিলেট প্রতিনিধি ::বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকে এবার সিলেটের গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর আসলেও উঠতে পারেননি ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চে।

১২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সিলেটের গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শেখপুর শাহী ঈদগাহ ময়দানে শেখপুর তরুণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলের অতিথি করা হয়েছিলো বিতর্কিত এই ইসলামী বক্তাকে। তবে বিতর্কের মুখে ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মঞ্চে না উঠেই তাকে চলে যেতে হয়। শেষ পর্যন্ত মামুনুল হককে বাদ দিয়েই মাহফিল শেষ হয়।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এবং আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটার আশংকায় তাকে বয়ান দিতে দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যকে মূর্তি আখ্যা দিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হলে সেটা ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি ফয়জুল করিমসহ আরও কয়েকজন ধর্মীয় বক্তা। এনিয়ে সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এই সময়ে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন একটা ভাস্কর্য ভাঙচুর করে কিছু দুর্বৃত্ত। ভাঙচুরের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা মাওলানা মামুনুলদের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এরপর সারাদেশে মামুনুল হকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।

এদিকে, ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি একটি মাহফিলের আয়োজন করে। যাতে চরমোনাই পীর সৈয়দ মো. রেজাউল করীমের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু চরমোনাই পীরের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ কর্মীরা মাহফিলের একটি ব্যানারে আগুন দিয়ে মাহফিল প্রতিহতের ঘোষণা দেয়। সেদিনই প্রশাসন ওই মাহফিলের অনুমতি বাতিল করে।

এছাড়া ২৬ ডিসেম্বর সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউপির লামাপাড়া শাহ গরিব এমদাদিয়া মাদ্রাসার ইসলামী মহাসম্মেলন ও ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জামিয়া দ্বীনিয়া আসআদুল উলুম রামধা মাদ্রাসার মজলিসে অতিথি করা হয়েছিলো বিতর্কিত এই ইসলামী বক্তাকে। তবে বিতর্কের মুখে তাকে বাদ দিয়েই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন আয়োজকরা।