নিজবাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, একটি পুকুড় পাড়ে ইউপি সদস্য শামীম আহমদের লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, ইউপি সদস্য শামীমের পরিবারের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, তিনি সন্ধ্যায় বাজারের যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। প্রতিদিন রাতে দেরিতে তিনি বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সদস্যা তার জন্য খাবার রেখে ঘুমিয়ে যান। তিনি বাইরে থেকে এসে খাবার খেয়ে ঘুমান। সোমবার রাতে শামীম আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে না পেয়ে ফোন করেন। তিনি কল রিসিভ না করার তারা তাকে বিভিন্নস্থানে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে কবিরা গ্রামের একটি পুকুড় পাড়ে স্থানীয় লোকজন তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের জানান। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তিনি হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
নিহত ইউপি সদস্য শামীম আহমদের চাচতো ভাই দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের কারও কোনো অভিযোগ নেই। শামীমের সাথে কারও শত্রুতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা ঠিক জানা নেই। যেহেতু পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বলেন, ইউপি সদস্য শামীম আহমদের লাশ একটি পুকুড় পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে শোনেছি তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও তিনি যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।