• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে-নাকাল শহরবাসী-আচরণ বিধিভঙ্গ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১২, ২০২১
ছাতকে নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে-নাকাল শহরবাসী-আচরণ বিধিভঙ্গ

ছাতক প্রতিনিধি ::  প্রচারনা চলছে তো চলছেই। নেই কোন সময় সীমা। রাস্তাঘাট দখল করে প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে। তীব্র যানযটে নাকাল শহরবাসী, যেন দেখার কেউ নেই।  নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, বিধি লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। এই বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে ছাতক পৌরসভায় এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। ফলে পৌরসভা নির্বাচনে ‘ফ্রি স্টাইলে’ চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়র, কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা গণসংযোগ, পোস্টারিং ও মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে দিন-রাত বিধি ভাঙছেন।নির্বাচনী আচরণবিধির ৭-এর ‘খ’ ধারায় রয়েছে, কোনো প্রার্থী পথসভা ও ঘরোয়া সভা করতে চাইলে ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে। কিন্তু বাস্তবে চলছে তার উল্টো। প্রতিদিন মেয়র পদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত উভয় প্রার্থীই গণসংযোগকালে একাধিক পথসভা করছেন। এতে আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এসব দেখতে নির্বাচন অফিসের কোনো কর্মকর্তাকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।আচরণবিধির ৮-এ উল্লেখ আছে, প্রার্থীদের পোস্টার সাদাকালো হতে হবে এবং এর আয়তন ৬০ বাই ৪০ সেন্টিমিটারের অধিক হতে পারবে না। কিন্তু অনেক প্রার্থীই এই বিধি মানছেন না। অনেকে বড় আকারের ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়েছেন।আচরণবিধির ২০-এ বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কেউ মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার চালাতে পারবে না। এই বিধিও মানছেন না প্রার্থীরা।

আচরণবিধিতে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ আছে। শুধু তাই না, রাত ৮টার পর কোনো প্রার্থী গণসংযোগও চালাতে পারবেন না। কিন্তু, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাইক বাজানো হচ্ছে। এ ছাড়া প্রচারে মোটরসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও তা মানছেন না অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক এক ভোটার জানান, ‘ শুনেছি পৌরসভা নির্বাচনে দ্বায়িত্ব পালনের জন্য তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের আর মাত্র ৪দিন বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত কাউকেই মাঠে দেখা যায়নি। ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আচরণবিধি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছাতক পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন মোট ৩০ হাজার ২৭৮জন। আগামী ১৬ জানুয়ারি ১৯টি কেন্দ্রের  ৭৭টি ভোটকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ছাতক পৌরসভা নির্বাচন।