বিবিএন নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবায় কর্মরত এক নার্স করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এখবর জানা গেছে।
হাইওয়েল ডা ইউনিভার্সিটি হেলথ বোর্ড এলাকায় কাজ করেন এই হাসপাতের সেবিকা। তিনি জানান, এই মুহূর্তে তার সহকর্মীদের নৈতিক মনোবল একেবারে নিম্নপর্যায়ে রয়েছে।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চামরু ওয়েলস ইতোমধ্যে দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য কমিটি বলছে, ভ্যাকসিনই হলো সবচেয়ে ভালেঅ সুরক্ষা। কিন্তু কোনও ভ্যাকসিনই শতভাগ কার্যকর নয়।
বেথান ছদ্মনামের সেবিকা বলেন, আমার নিজেকে বড় ধরনের দোষী মনে হচ্ছে। আসলে পরিবারকে শঙ্কায় ফেলে দিছি। এটি হৃদয় বিদারক। ফ্রন্টলাইন কর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণে আমি ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
তিনি জানান, ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ পেয়ে প্রথম দিকে তিনি স্বস্তিতে ছিলেন। তালিকায় স্থান পাওয়া কঠিন হলেও গত মাসে তিনি ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
তার কথায়, ভ্যাকসিন নিয়ে মনে শান্তি পেয়েছিলাম। নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছিল। ভাবছিলাম পরিবারের জন্য সঠিক কাজ করছি। কিন্তু এই আশা ছিল মিথ্যা।
তিনি জানান, তাকে বলা হয়েছিল, ভ্যাকসিনের সুরক্ষা পেতে ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে দশ দিন সময় লাগতে পারে। কিন্তু তিন সপ্তাহ তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন এবং করোনা পজিটিভ রিপোর্টের কথা শুনে মর্মাহত হয়েছেন। সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও বেথানের সঙ্গী ও তাদের এক সন্তান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।(জনমত )