মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: প্রেমিকাকে নিয়ে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রেমিক যুগল। সেখান থেকে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু সেই চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে রাতে ফেরার সময় প্রেমিকা হঠাৎ পা পিছলে টিলার নিচে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। ভোরে জ্ঞান ফিরে উপরে উঠে দেখেন একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় প্রেমিকের লাশ ঝুলছে। এসময় প্রেমিকা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ঝুলন্ত লাশের পাশে বসে থাকে।
২৬ ডিসেম্বর শনিবার সকালে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ। এসময় ৪৬ বিজিবি মুড়ইছড়া ক্যাম্পের সদস্যসহ পুলিশ উপস্থিত ছিলো। ২৫ ডিসেম্বর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের এওলাছড়া পানপুঞ্জির পাশে নোম্যান্সল্যান্ড জঙ্গলে।
স্থানীয় ও ঘটনাস্থলে লাশ পাহারারত কিশোরী এনি আক্তার জানান, ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের সিন্ধু মালাকারের ছেলে শিপন মালাকার (১৮) তার প্রেমিকা একই ইউনিয়নে কানিকিয়ারি গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে স্থানীয় আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী এনি আক্তারকে (১৬) নিয়ে এওলাছড়া পানপুঞ্জির জঙ্গলে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে তারা। তবে তাতে ব্যার্থ হয়ে ফেরার পথে পা পিছলে টিলার নিচে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় এনি। জ্ঞান ফিরলে সে দেখতে পায় পড়নের গেঞ্জি দিয়ে গাছের ডালে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শিপনের লাশ।
লাশের পাশে অবস্থানরত কিশোরী এনি আক্তার জানান, শিপনের সাথে তার ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তিনি বাড়ি রাগ করে শিপন মালাকারের সাথে ঘর ছাড়েন। কর্মধা ইউনিয়নের এওলাছড়া পানপুঞ্জি এলাকায় আসেন। ততক্ষণে রাত নেমে আসে। গহীন অরণ্যে হাটতে গিয়ে তিনি পা ফসকে টিলার নিচে পড়ে যান। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভোরে যখন তার জ্ঞান ফিরে তখন তিনি উপরে উঠে শিপনের লাশ গাছের সাথে ঝুলতে দেখেন।
এনি আক্তার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানিকিয়ারি গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে। তিনি আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
কুলাউড়া থানার এসআই মাহসীন তালুকদার জানান, লাশের গায়ে অন্যকোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না। শিপনের পরণের সোয়েটার দিয়ে গলার সাথে ফাঁস লাগানো ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ছেলেটি আত্মহত্যাই করেছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হবে।