• ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

মিথ্যাচার করেছেন বাবুনগরী,আহমদ শফীর শ্যালকের দাবি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
মিথ্যাচার করেছেন বাবুনগরী,আহমদ শফীর শ্যালকের দাবি

 

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু নিয়ে সংগঠনটির বর্তমান আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মিথ্যাচার করছেন বলে দাবি করেছেন আল্লামা শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন রুহী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন রুহী বলেন, গত ২৩শে ডিসেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও তার সহযোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে তারা চরম মিথ্যাচার করেছেন। বাবুনগরীর মতো বয়োবৃদ্ধ আলেম এভাবে মিথ্যাচার করতে পারেন তা অকল্পনীয় এবং বিস্ময়কর।

তিনি বলেন, গত ১৬-১৯শে সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় কি ঘটেছিলো তা আপনারা সবাই জানেন। কওমী ভিশনের মাধ্যমে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মাদরাসায় অবস্থান করে সকল ঘটনা লাইভ প্রচার করেছেন। আপনারা দেখেছেন শহীদ আল্লামা শফী হুজুরের রুমে কিভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রীস, মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা ইনামুল হাসান, মাওলানা জুনায়েদ উপস্থিত থেকে শফী হুজুরকে জোরপুর্বক হাটহাজারী মাদরাসা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।

এরপর তার অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠিলে দিয়েছেন।

এরপর বাবুনগরীর ছত্রছায়ায় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির, বিএনপি, নিষিদ্ধ ঘোষিত হুজী, হিজবুত তাহরিরসহ বিভিন্ন সংঘটনের নেতাকর্মীরা জানাজায় পরিকল্পিত অবস্থান নেয়। ওই দিন আল্লামা শফীর বড় ছেলে ইউসুফ মাদানীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জানাজায় অংশ নেওয়ানো হয়।

তিনি বলেন, আমার ভাগিনা ইউসুফ মাদানী জানাজা পড়িয়েছে। জানাজার পূর্বে ছেলের যে বক্তব্য রাখার কথা সেটা রেখেছে। কিন্তু বাবুনগরীর দোসররা তার সে বক্তব্য সীমিত ও নির্ধারিত করে দিয়েছে। এরপর তাকে হুমকি দিয়ে আল্লামা শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি আদায় করে তা ভিডিও বার্তায় প্রচার করেছে।

আল্লামা শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন রুহী দাবি করেন, আজকের সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানি উপস্থিতি থাকার কথা ছিলো কিন্তু মামুনুল হক বাহিনীর কারণে তিনি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পৌঁছাতে পারেননি। তাকে হাটহাজারী থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ থেকে আপনারাই বুঝে নেন আল্লামা শফির মৃত্যু নিয়ে কি ধরণের ষড়যন্ত্র হয়েছে বা হচ্ছে এবং পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।