বিবিএন নিউজ ডেস্ক : টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস বারার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সরকারী ঘোষনা অনুযায়ি টাওয়ার হ্যামলেটস সহ গোটা লন্ডনে টিয়ার ফোর বা সর্বোচ্চ মাত্রার লকডাউন জারি করা হয়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস যা অতি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং এ কারণে রাজধানীতে সংক্রমণের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রাদুর্ভাব রুখতে ২০ ডিসেম্বর থেকে নতুন ও অতিরিক্ত বিধিনিষেধের আওতায় আমরা প্রবেশ করেছি।
তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় বা অত্যাবশকীয় নয়, এমন সকল পণ্যের দোকান অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। হেয়ারড্রেসার, নেইল বারস এর মতো ব্যক্তিগত পরিচর্যার দোকান, অভ্যন্তরীন জিম ও লেজার ফ্যাসিলিটিজগুলোও বন্ধ থাকবে। অত্যাবশকীয় না হলে লোকজনকে অবশ্যই অন্যত্র ভ্রমণ বা যাতায়াত থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যেসকল ক্ষেত্রে সম্ভব ঘরে থেকে কাজ করতে হবে।’
মেয়র বলেন, ‘২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের মধ্যকার মেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, বাসিন্দারা অবশ্যই তাদের এলাকার বাইরে যাবেন না কিংবা নিজেদের পরিবার বা সাপোর্ট বাবলের বাইরের কারো সাথে মিশতে পারবেন না। প্রত্যেককে সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে, বিশেষ করে বয়স্ক ও কিংবা শারিরীকভাবে দুর্বল লোকজনদের নিরাপদ রাখতে আমাদের সকলকে বিধিনিষেধগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।’
কাউন্সিল ও সরকারী ওয়েবসাইটে নতুন বিধিনিষেধগুলোর বিস্তারিত রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, তারপরও কয়েকটি বিষয় আমি এখানে উল্লেখ করছিঃ
ধর্মীয় সমাবেশের অনুমোদন থাকলেও অবশ্যই অন্যদের সাথে মেশা যাবে না এবং উপযুক্ত দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু এরপরও এটা মনে রাখতে হবে যে বাতাসে ড্রপলেটস্ বা জলীয় কনার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তাই নিজের এবং অন্যদের সার্বিক সুরক্ষার স্বার্থে ফেস মাস্ক বা মুখ ঢেকে রাখাটা উত্তম পন্থা।