• ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আজ ১৬তম ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠিত হবে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
আজ ১৬তম ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠিত হবে

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব কারি শিল্পের অস্কার পুরস্কার হিসেবে খ্যাত ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের অন্যন্য আয়োজনটি এ বছর কোভিড-বিধির সাথে সঙ্গতি রেখে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রিটেনে, আজ ১৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় (বাংলাদেশি সময় বৃহস্পতিবার ভোররাত ১.৩০ মিনিট)। চিত্তকর্ষক আয়োজনটির সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন বিশ্বখ্যাত ইমপ্রেশনিস্ট রোরি ব্রেমার। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের যে কোনো মানুষ এ লিংকের মাধ্যমে আয়োজনটি উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট http://www.britishcurryaward.co.uk থেকেও লাইভ সম্প্রচারিত হবে অনুষ্ঠানটি।

পুরস্কার প্রবর্তক প্রতিষ্ঠাতা এনাম আলি এমবিইর সঙ্গে গোটা আয়োজনের সহযোগী হিসেবে থাকছে জাস্টইট।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত একজন মানুষ, দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই। শতবর্ষী এ বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক বিগত ৬০-এর দশকে একটি রেস্তোরাঁ চালু করেন সেইন্ট অ্যালবানসে। সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ মহামারির আঘাতে বিপর্যস্ত মানবতাকে সহায়তা দিতে প্রায় একক প্রচেষ্টায় ৪২০,০০০ পাউ- (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা) সংগ্রহ করেন ও তা বিলিয়ে দেন নিজের কম্যুনিটির মানুষগুলোর মধ্যে। তার এ অর্থে উপকৃত হয়েছে অনেকগুলো দাতব্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষত, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। অনন্য এ বদান্যতার পাশাপাশি এ জাতীয় অপরূপ হৃদয়বৃত্তির স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছরের অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন ব্রিটিশ কারি শিল্পের নেপথ্য চালিকাশক্তি, এমন আরো কতকগুলি মানুষ।

উল্লেখ্য, এই প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার কোনো একটি রেস্তোরাঁর খাদ্যমানের স্বাদ ও গুণাগুণ বিচার করে দেয়ার পরিবর্তে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি, যেমন, ইনসপারেশনাল পারসন, আনসাং শেফ অ্যাওয়ার্ড, স্পেশাল কাভারেজ অব দ্য কারি ইন্ডাস্ট্রি, ইত্যাদিতে কোনো একজন ব্যক্তি বা উদ্যোক্তার সামাজিক অবদানের ব্যাপ্তি ও মানবিক চিত্তের স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া হচ্ছে।

ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তক এনাম আলি এমবিই এ বিষয়ে বলেন, কোভিডকালের এমন বড় একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সহমর্মিতা ও মানবতার অন্য নজির তৈরি করা এমন মানুষগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার এ সুযোগ লাভ করে আমি প্রকৃতই সম্মানিত বোধ করছি।

হার ম্যাজেস্টি ব্রিটিশ রানি এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশাাপশি বিরোধীসহ শীর্ষস্তরের জাতীয় নেতৃবৃন্দের আশীর্বাদধন্য এ আয়োজনটি কোভিডকালের স্বাস্থ্যবিধির সাথে সঙ্গতি রেখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে একটি সুবিশাল স্টুডিওতে, যদিও প্রতিবারের মতো বিখ্যাত তারকাখচিত জমকালো অতিথি-অভ্যাগতের পরিবর্তে এবারের আয়োজনটি থাকবে দর্শকশূন্য। সীমিত সংখ্যক উপস্থিতির মধ্যেও বজায় রাখা হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। যদিও সেবা ও আপ্যায়ন খাতের বৃহত্তম এ আয়োজনটি ইউটিউব, ফেসবুক, জুম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও লিকডইন নেটওয়ার্কে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমেই পৌঁছে যাবে বিশে^র প্রতিটি প্রান্তে শত কোটি মানুষের কাছে।

২০০৫ সালে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের যাত্রা শুরু। এর উদ্যোক্তারা ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে ১২ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁর প্রতিনিধিত্ব করেন যার ৮৫ শতাংশের মালিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রতিবছর ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পাঁচ বিলিয়ন পাউন্ডের অবদান রাখার পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান ঘটছে এ শিল্পের মাধ্যমে। ব্রিটিশ রসনার খ্যাতি আজ হয়তো বিশ^জুড়ে, যদিও খুব অল্প মানুষই জানে যে, আজকের এ অনন্য সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় কিন্তু বিগত শতকের ৬০-৭০ দশকে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমানো অদম্য একঝাঁক উদ্যমী আর সাহসী মানুষের হাত ধরেই।