• ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রেক্সিট চুক্তি:ইইউ’র কঠোর অবস্থানের জন্য ব্রিটেন অ্যাঙ্গেলা মের্কেলকে দায়ী করছে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
ব্রেক্সিট চুক্তি:ইইউ’র কঠোর অবস্থানের জন্য ব্রিটেন অ্যাঙ্গেলা মের্কেলকে দায়ী করছে

বিবিএন নিউজ ডেস্ক:ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আলোচনার চূড়ান্ত দিনে পৌঁছেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেন। ইইউ’র প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য কওে ব্রিটেনের সরকারী সূত্র বলছে, ব্রেক্সিট সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ ভাগ। ব্রিটেনের একটি সরকারী সূত্র ইইউ’র শক্ত অবস্থানের জন্য জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কোনো সমঝোতা নয়, মের্কেল যেনো ব্রিটেনকে ভাঙ্গা কাঁচের ওপর দিয়ে হাঁটানোর সংকল্প নিয়েছেন। বিবিসি/ডেইলি মেইল/ওয়ান বাংলা

সোমবার আলোচনার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পরও ইউরোপিয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসূলা ভন দের লিয়েন ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আলোচনা অব্যাহত রাখতে রাজি হয়েছেন। তবে জনসন বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিটে অর্ন্তবর্তীকালীন সময় শেষ হওয়ার পর ব্রিটেন আর কোনোভাবেই আলোচনার টেবিলে বসবে না।

মূলত অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি চলছে। ব্রিটেন ইইউ’র একক বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের দাবী করছে। ইইউ বলছে, ইউনিয়নের পণ্য নীতি, শ্রমিক অধিকার ও ব্যবসায়িক ভর্তুকি না মেনে একক বাজারে ব্রিটেনের শুল্কমুক্ত প্রবেশের দাবী অন্যায্য সুবিধারই শামিল। আবার ইইউ ব্রিটেনের সমুদ্রসীমায় বাণিজ্যিক মৎস শিকারের অধিকারের দাবী জানিয়ে বলেছে, এটি না হলে ব্রিটেনের মৎস ব্যবসায়ীরাও ইইউ’র বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে বিশেষ সুবিধা পাবে না। অন্যদিকে নিজেদের সমুদ্রসীমায় ইইউ’র প্রবেশের দাবীকে সার্বভৌমত্বে আঘাত বলে মনে করছে ব্রিটেন।

ইতোমধ্যেই ব্রিটেন চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের রুপকল্প প্রকাশ করেছে। পরিকল্পনার আওতায় ব্রিটেনের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে রাজকীয় নৌ-বহর মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মার্চ থেকে সীমান্তে ১ হাজার ১০০ জন বাড়তি কাস্টম ও ইমিগ্রেশন অফিসার মোতায়েন করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটির সর্বত্র জরুরী ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য ৩ হাজারের বেশি লরি ঠিক করা হবে। ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেয়ার জন্য ২০টি টেলিফোন সেবা সার্ভিস থাকবে