বিবিএন নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের পপালার ও লাইমহাউসের এমপি আপসানা বেগম তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত হাউজিং ফ্রড বা আবাসন জালিয়াতি সংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত ৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজেস্ট্রেট কোর্টে অনুষ্ঠিত শুনানিতে নিজে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবী করেন। তাঁর বিরুদ্ধে স্যোশাল হাউজিং সংক্রান্ত থ্রি কাউন্ট অভিযোগের সবকটিই অস্বীকার করেন আপসানা বেগম। আদালতে ২০১১ সালের জুলাই-এ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্যোশাল হাউজিংয়ে তালিকাভূক্তি হওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন বলে জানানো হয়।
এই লেবার রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি ঠিকানা বদলানোর পরে ১৮ জানুয়ারী, ২০১৩ এবং ৩১ মার্চ, ২০১৬ সালের মধ্যে তিন মেয়াদে ঠিকানা বদলের বিষয়টি আবাসন পরিষেবা সার্ভিসকে অবহিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের এজন্য ব্যয় হিসেবে ৬৩, ৯২৮ পাউণ্ডের অভিযোগ করেছে। কারণ আবাসন তালিকার থাকায় অন্য একজনকে অন্য কোথাও আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হয়েছিলো।
গত ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর আসন জয়ী আপসানা বেগম আদালতে বিরুদ্ধে পড়ে শোনানো তিনটি অভিযোগ প্রত্যেকটিই অস্বীকার করেন।
তিনি শুধু তাঁর নামটি নিশ্চিত করতে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে ডেপুটি চিফ ম্যাজিস্ট্রেট ত্যান ইকরাম তাকে তার ঠিকানা লিখতে অনুমতি দিয়েছলেন যা তার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতে তা প্রকাশ করা হয়নি।
আপসানার আইনজীবী রাজ চদা জো কক্স এমপির হত্যাকা-ের পর থেকে নিরাপত্তার তীব্র উদ্বেগ রয়েছে উল্লেখপূর্কত বিচারককে বলেন, লেবার পার্টির একজন সদস্য ও তার সমর্থকদের মধ্যকার একটি ইস্যুতে মিস আপসানার বিরুদেন্ধ হয়রানীমুলক প্রচারণা চলে আসছে।
বিচারক ইকরাম বলেন, আমি মনে করি যে তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার কারনে প্রেসের প্রয়োজনে নিরাপদভাবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি কে সে সম্পর্কে কোনও বিভ্রান্তির কারণ নেই।
আপসানা বেগম একই সাথে জুলাই ২২, ২০১১-এ হাউজিং লিস্টে যোগদানের জন্য আবেদন করার পরে তিনি যে “জনাকীর্ণ পরিস্থিতিতে” বাস করছেন এ বিষয়টি টাওয়া হ্যামলেটস কাউন্সিলকে অবহিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় আরো তিনটি জালিয়াতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী শুনানির পর বিচারক ইকরাম বলেন, আমি এই মামলাটি স্ন্যায়ার্সকব্রুকের ক্রাউন কোর্টে পাঠাচ্ছি। আপনি সেখানে ৫ জানুয়ারী সকাল ৯.৩০ টায় উপস্থিত হবেন। আপনি নিঃশর্ত জামিন পাবেন উল্লেখ করে বিচারক বলেন, তার মানে আপনার অবশ্যই সময়মতো সেখানে থাকতে হবে। আপনি যদি সকাল ৯.৩০ টায় না থাকেন তবে তা নিজেই কোনও অপরাধ হতে পারে। আপনি কি বুঝতে পেরেছেন?
জবাবে আপসানা বেগম ‘ইয়েস’ বলেন।
তিনি এর আগেও একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তিনি এই বাজে ও মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে লড়ছেন।
এদিকে, এক ইমেল বার্তায় আইনজীবির পরামর্শ ছাড়া এর চেয়ে বেশি কিছু বলবেন না বলে তিনি মিডিয়াকে জানিয়েছেন আপসানা বেগম এমপি।
উল্লেখ্য, গত বছর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটস বারার পপলার এ- লাইম হাউস আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচন করেই জিতে যান ৩০ বছর বয়সী আফসানা। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা টাওয়ার হ্যামলেটসে হলেও বাংলাদেশে তার বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। আফসানার বাবা মনির উদ্দিন টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলর ছিলেন।(সাপ্তাহিক সুরমা )