• ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সাংসদ রতন পরিবারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকায় মানববন্ধন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৪, ২০২০
সাংসদ রতন পরিবারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকায় মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি,ঢাকা: জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সন্ত্রাস করছেন সুনামগঞ্জ-০১ আসনের সংসদ সদস্য ও তার ছোটভাই উপজেলা চেয়ারম্যান। স্থানীয় ‘সুনই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ’ এর উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে এই দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে।

মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতায় যখন অসাম্প্রদায়িক, সম্প্রীতির সরকার ঠিক এই সময়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে যার লাগামহীন অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রমান রয়েছে সেই মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক আমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। স্থানীয় প্রসাশনের কাছেও বিচার পাচ্ছি না।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে গরীব জেলেদের সংগঠন জানিয়ে এর নেতারা বলেন, এই সংগঠন মনাই নদী প্রকাশিত সুনই নদী জলমহাল ১৪২২ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪২৭ সন পর্যন্ত ইজারা প্রাপ্ত হয়ে ভোগ করে আসছে। এতে নজর পড়ে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই ধর্মপাশা উপজেলার চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের। তাদের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী জলমহাল থেকে সমিতিকে বিতাড়িত ও উচ্ছেদ করে দেন।

সম্প্রতি সুনই গ্রামের এমপি রতন সাহেবের বড় ভাই মোবারক হোসেন মাসুদ ও ওনার ছোট ভাই যতন মিয়া, মোজাম্মেল হোসেন রোকন, আব্দুস ছালাম মুন্সি, সোপেল, নুরুজ্জামান মেম্বার, রিপন মিয়া, আবুল কাশেম, জুলহাস, খাইরুল, বাপ্পন, জানু খা, গণি মিয়া, রোমান মিয়া, দিলু মিয়া, মনু মিয়াসহ সন্ত্রাসীরা জলমহাল দখলের উদ্দেশ্যে আমাদের দুটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার লুট করে নেয়।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে লিখিতভবে জানানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় প্রশাসনসহ সরেজমিন পরিদর্শন করে আমাদের ট্রালার দুটি উদ্ধার করে দেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর ১৪২৭ সনের খাজনাও পরিশোধ করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এম পি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ছোট ভাই রোকনের নির্দেশে ওই দিন বিকাল চারটার দিকে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-শন্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদের উপরও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন রতন মিয়া, মনিন্দ্র বর্মণসহ সাত জন।

তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনায় গত ১লা অক্টোবর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় সমিতির সভাপতি চন্দন বর্মণ বাদি হয়ে মামলা করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই মামলার আসামিরা অবাধে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।

অন্যদিকে নানা ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আমাদের ইজারা নেওয়া সুনই জনমহালের পাড়ে স্থাপনা তৈরী করে দখল করছে। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ, সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। এবং একইসঙ্গে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করা হয়।