বিবি এন নিউজঃ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের ডিএনএ নমুনার সাথে মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে।
রোববার ডিএনএ প্রতিবেদন শাহপরাণ থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের হাতে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এবিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের।
তিনি বলেন, আলোচিত এ ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ডিএনএ প্রতিবেদন না আসায় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া এতদিন সম্ভব হয়নি।
“ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসায় দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে এবং বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।”
গত ১ ও ৩ অক্টোবর দুই দিনে এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া, আইনুদ্দিন, মাহফুজুর রহমান ও তারিকুল ইসলাম তারেক।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারের ডিএনএ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহের পর ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রথমে আদালতে এসে পৌঁছায়। পরে রোববার তা তদন্ত কর্মকর্তার হাতে এসে পৌছেছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওইএক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে সেই নববধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।