ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের ছাতকে স্কুল পড়ুয়া এক কন্যাকে উত্যেক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। মেয়েকে উত্যেক্তকারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উল্টো মাকে টানা হেঁছড়া করে শ্লিলতাহানী ঘটিয়ে হাতের হাড় ভেঙ্গে একটি আঙ্গুল কেটে দিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নীচ তলার ইমার্জেন্সির ২৯ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন আছেন। এ ঘটনায় রোববার ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ওইদিন বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের সউদি আরব প্রবাসী হাছান আহমদের স্ত্রী রুনা বেগম গোবিন্দগঞ্জে যাওয়ার জন্য তার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে সাথে নিয়ে শনিবার বেলা ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। কন্যাকে নিয়ে মা রুনা বেগম বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় বের হলে রাস্তার অপর পাশে দাড়িয়ে থাকা গ্রামের আবদুল মন্নানের পুত্র আনোয়ার ও মৃত মসই আলীর পুত্র মিন্টু মিয়া স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে উত্যেক্ত করে। এসময় উত্যেক্তকারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মা রুনা। উত্যেক্তকারীদের পক্ষ নিয়ে তাদের সহযোগিরা ওই প্রতিবাদকারী নারীর উপর হামলা চালিয়ে ভ্যানেটি ব্যাগ চিনিয়ে নেয়। তারা ওই নারীকে টানা হেঁছড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে একটি আঙ্গুল কেটে দিয়েছে। হামলায় গ্রামের রহমত আলীর পুত্র সুজন মিয়াও আহত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে রোববার দুপুরে প্রবাসীর সহোদর কবি হোসাইন আহমদ বাদি হয়ে গ্রামের আবদুল মন্নানের পুত্র আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৬জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওইদিন বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ শামছুল আরেফীন। থানার ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।