ছাতক প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের ছাতকে ক্ষেতে গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১৪ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের উত্তর কুর্শী গ্রামের নুরুল আমিন ও মোস্তফা মিয়া পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এসংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১০ জনের চোখে, নাকে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লেগেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে উত্তর কুর্শী গ্রামের পশ্চিমে নুরুল আমিনের ধান ক্ষেতে প্রতিপক্ষ গিয়াস ও আলা উদ্দিনের ছেলে তাদের গরু দিয়ে ধান খাওয়াতে শুরু করে। এ সময় নুরুল আমিনের লোকজন বাঁধা দিলে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে মোস্তফা পক্ষের লোকজন বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। দফায়-দফায় প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন দুটি পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধও রয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে জাহিদপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত আনা মিয়া, শামীম আহমদ, রাজা মিয়া, কামরুল মিয়া, সাইফুল আলম, হারুন মিয়া, জুয়েল আলম, সদরুল আলম, আইয়ুব আল, রুস্তুম আলী, ফিরোজ মিয়া, সাইদুল ইসলাম, আয়েছ মিয়া, শিপন মিয়াসহ উভয়পক্ষ ১৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সারজন, ইনজু মিয়া, রশিদ মিয়া, সহিদুল, জসিম, মহরম আলী, আইন উদ্দিনসহ আরও কয়েকজনকে কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতরা জানিয়েছেন, সাবেক ইউপি সদস্য হায়দর আলীর নেতৃত্বে আইয়ুব ও কয়েছসহ কয়েকজন গুলি বর্ষণ করে। এর আগেও একাধিকবার তারা অস্ত্রদিয়ে গুলি করে।
ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে গুলি বর্ষণের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নয় বলে জানান।