লন্ডনের রিজেন্ট পার্কে অবস্থিত সেন্ট্রাল মসজিদের ইমাম রাফাত ম্যাগলাদকে ছুরিকাঘাত করে শারীরিকভাবে জখমের কথা স্বীকার করেন ড্যানিয়েল হরটন।
আকস্মিক ঘটনায় ম্যাগলাদ আহত হয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর আশংকা হচ্ছিল যে যুবক তাঁকে আবারো আঘাত করতে পারেন।
হামলার আগে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, লাল জ্যাকেট পরা হরটন নামাজ আদায়ের স্থানে বসে উপাসনা করছে।
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের সেন্ট্রাল মসজিদের ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ রক্তাক্ত জায়নামাজ দেখে। সেখানে একটি ব্লেডও পাওয়া যায়, যা হরটন আঘাতের জন্য নিয়ে গিয়েছিল। হরটনের স্থায়ী নিবাস সম্পর্কে জানা যায়নি। গত ১৬ নভেম্বর সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালতে তাঁর শুনানি শুরু হয়।
হরটনের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে, আজ হরটন নিজের আইনজীবীর কাছে আবেদন করেন, যেন তাকে হাসপাতালের বদলে কারাগারে নেওয়া হয়।
আইনজীবী সাম ব্লোম কোপার বলেন, ‘হরটনের সঙ্গে আমার সীমিত কথা থেকে বোঝা যায়, তিনি শাস্তি পেতে চান। তার কৃতকর্মের জন্য তিনি শাস্তি পেতে আগ্রহী। তিনি জেলেই যেতে চান। মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে চান না। শুধু তাই নয়, তিনি জেলে গিয়ে কোরআনও পড়তে চান। তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো কোরআন পড়তে চান।’
হামলার শিকার মাগদাল এখনও অসুস্থ। ক্ষতস্থানের জন্য তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তাঁর শরীরে এখনও দুই থেকে তিন ইঞ্চি পরিমাণ স্থানে ক্ষত আছে। কারো সাহায্য ছাড়া স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন না। নামাজের ইমামতি করা এখন আর তার পক্ষে সম্ভব নয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর হরটনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তাঁর মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান বিচারপতি ডেবোরাহ টেইলর।