• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের মিথ্যাচার নিয়ে তোলপাড় চলছে(ভিডিওসহ)

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০২০
সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের মিথ্যাচার নিয়ে তোলপাড় চলছে(ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের মিথ্যাচার নিয়ে তোলপাড় চলছে।  অনেকে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।  কড়া সমালোচনা করে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন পলায়নরত অবস্থায় সাদা পোষাকধারী পুলিশ আকবরকে গ্রেফতার করেছে।অনেকে এও বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।     আমরা আপনার নীতি কথাগুলো যখন শুনতাম তখন মনে হতো সিলেটবাসী অনেকদিন পর একজন প্রকৃত অবিভাবক পেয়েছে। অথচ আজ সিলেটের মাটিতে স্বরণকালের শ্রেষ্ট মিথ্যা বক্তব্যটি আপনিই দিলেন। আসলেই আমাদের বুঝতে দেরি হয়েছে, আপনাদের ছায়াতলে আকবরদের বসবাস! অব্যশ্যই সব পুলিশ আপনি বা আকবরের মতো না, এর মধ্যে মানবিক পুলিশও আছে!

সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিষ্কৃত উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সোমবার সকাল ৯ টায় গ্রেপ্তার করা হয় বলে প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

https://www.facebook.com/100029156080426/posts/437642417217624/

এরপর সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন।

এতে তিনি বলেন, আকবর কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে এমন তথ্য আমরা পেয়েছিলাম।

সেই তথ্যে রোববার থেকে কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয় এবং সাদা পোষাকে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আর সকাল নয়টার দিকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এর আগে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছিলও, রায়হান আহমদ মারা যাওয়ার দুদিন পরই আকবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সে আগে ভারতে পালিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসতে পারে। তবে আমরা তাকে সীমান্ত এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করেছি।

আকবরকে আটকের কিছু ভিডিওচিত্র সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায় একদল যুবক আকবরের হাত পা বেঁধে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসছেন। এসময় ওই যুবকরা আকবরকে বিভিন্ন প্রশ্নও করেন।

https://www.facebook.com/100356861839683/posts/134940785047957/

ওই যুবকরা বাংলায় কথা বললেও তাদের শারীরিক গঠন ও কণ্ঠস্বর ছিল অবাঙালিদের মতো। কানাইঘাট এলাকার স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, ভিডিওতে যে যুবকদের দেখা গেছে তারা খাসিয়া সম্প্রদায়ের এবং যে জায়গার ছবি দেখা গেছে তা ভারতের অভ্যন্তরের।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একটি ভিডিও ছড়িয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেটি এখনো আমি দেখিনি। আমরা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকেই পুলিশের স্থানীয় কিছু বন্ধুদের সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেপ্তার করেছি।