ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ স্কুল ছাত্র নুরুল আমিন রাহি (১০) ও নৌ-শ্রমিক কৃঞ্চলাল দাশের (৩৬) লাশ। মঙ্গলবার দুপুরে সুরমা ব্রিজ সংলগ্ন বারকাহন গ্রাম সংলগ্ন এলাকা থেকে স্কুল ছাত্র রাহি ও বিকেলে সুরমা নদীর বাউসাবাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে নৌ-শ্রমিক কৃঞ্চলালের লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য শ্রমিকের লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও শিশুর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাতক পৌরসভার দক্ষিণ বাগবাড়ী এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে ও স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাহি গত রোববার বিকেলে লাফার্জ-হোলসিম সিমেন্ট লিমিটেড এর ফেরিঘাটের জেটি থেকে হঠাৎ ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। তার সন্ধানে সুরমা নদীতে অনুসন্ধান চালায় ছাতক ফায়ার সার্ভিস দল। দুই দিনেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে নদীতে লাশ ভেসে উঠলে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে গত শনিবার সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত পাহাড়ি পিয়ান নদীতে একটি বল্কহেডে বালু লোডিং শেষে রশির সাথে ধাক্কা খেয়ে পানিতে তলিয়ে যায় নৌ-শ্রমিক কৃষনলাল দাস। সে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডাবের পাড়গ্রামের যতিন্দ্র লাল দাসের ছেলে। ঘটনার চারদিন পর সুরমা নদীর বাউসাবাজার এলাকায় ভেসে উঠা লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। স্কুল ছাত্র ও নৌ-শ্রমিকের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন।