• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আজারবাইজানে হামলা, নিহত ৯

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১১, ২০২০
আজারবাইজানে হামলা, নিহত ৯

বিবি এন নিউজঃ  দুই সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষের পর নাগোর্নো-কারাবাখে যুদ্ধবিরতি শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
মাত্র গতকাল ১০ অক্টোবর মস্কোতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে প্রায় দশ ঘণ্টা আলোচনার পর সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল দেশ দুটি।

বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের রাজধানী স্টেপানকার্টে শনিবার সন্ধ্যায় গোলাবর্ষণের কথা জানাচ্ছে আর্মেনিয়ার গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করছে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় আজেরি সেনারা আক্রমণ চালায়।

জাতিগত আর্মেনীয়রা তার জবাব দেয়। অন্যদিকে আজাবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পাল্টা অভিযোগ করে বলছে, আজেরি অঞ্চলে আর্মেনিয়ানরা স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন করছে।

দুই সপ্তাহ আগে নতুন করে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।

নাগোর্নো-কারাবাখে স্বঘোষিত জাতিগত আর্মেনিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, আজারবাইজান স্টেপানকার্টের বেসামরিক এলাকায় মিসাইল নিক্ষেপ করেছে।

অন্যদিকে আজেরিদের অভিযোগ আর্মেনিয়া ড্রোন হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।

পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘ তিন দশক ধরে বিরোধ চলে আসছে সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিকের অংশ এই দেশ দুটির মধ্যে।

যে জায়গাটির দখল নিয়ে দেশ দুটোর মধ্যে যুদ্ধ চলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী দখল করে নিয়েছিল।

দুটো দেশই এই এলাকাটিকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। ১৯৮৮ থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ চলার পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলেছে।

আলোচনা

এলাকাটি নিয়ে কোন ধরনের নিষ্পত্তি দুই দেশের মধ্যে হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত। কিন্তু এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা।

পুরনো সংঘর্ষ নতুন করে তা আবারও জোরালো হয়ে ওঠে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর।

দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে তিনশ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং ৭০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য দেশ দুটি একে অপরকে দায়ী করে আসছে।
বন্দী বিনিময় এবং মরদেহ উদ্ধারের সুযোগ তৈরি করার জন্য এই যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।