বিবিএন নিউজঃ ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে মুখের দাড়িও কেটে ফেলে। সে ছদ্মবেশে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো। তবুও তার শেষ রক্ষা হয়নি। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা খেয়াঘাট থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে।
এদিকে, সাইফুর রহমানকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সাইফুর গ্রেফতার এড়াতে বাঁচতে তার মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলে। সে সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রেফতারের পর সাইফুর পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।
এমসি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সাইফুর এমসি কলেজের ইংরেজী বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছে। তার ইভটিজিং ও হয়রানির কারণে এমসি কলেজ থেকে অনেক মেয়েরা অন্য কলেজে চলে যায়। এমনকি কলেজে সাইফুরসহ তার সহযোগীরা সাধারণ শিক্ষার্থীকে জিম্মী করে চাঁদাবাজিও করে আসছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তারা।