• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শফীপুত্র আনাস মাদানীকে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
শফীপুত্র আনাস মাদানীকে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

বিবিএন নিউজঃগতকাল হঠাৎ করেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কওমি অঙ্গনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসা। যোহর নামাজের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর এই বিক্ষোভ। পরে মজলিসে শূরার বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী মাদরাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় আনাস মাদানীকে।

anas madaniআনাস মাদানী

বহিষ্কারের আগে দীর্ঘদিন হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন আনাস মাদানী। তিনি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে। বাবা আল্লামা শফী মাদরাসাটির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাদরাসার পদ হারালেও আনাস মাদানী হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

সূত্র জানায়, বেশ অনেক দিন ধরেই মাদরাসার ভেতরে-বাইরে শফিপুত্র আনাস মাদানীর ওপর ক্ষোভ বাড়তে থাকে। আল্লামা শফী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকেই এককভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছিলেন আনাস মাদানী। এমনকি মাদরাসার সহকারী পরিচালকের পদ থেকে প্রবীণ আলেম আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে কৌশলে সরিয়ে দেন। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে আরো অনেক সিনিয়র শিক্ষককে।

hathazari madrashaশিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আল্লামা শফী সম্পূর্ণ মা’যুর (অক্ষম) হয়ে পড়েছেন। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ারও ক্ষমতা রাখেন না। এই সুযোগ নিয়ে আনাস মাদানী দিনের পর দিন তার হটকারী সিদ্ধান্তগুলোই বাবার নামে চালিয়ে যাচ্ছিল। যার কারণে মাদরাসা পরিচালনায় মারাত্মক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।