লতিফুর রহমান রাজু::সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রাজাই গ্রামে চার সন্তানের জনক কর্তৃক জোরপূর্বক এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রশিদ(৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ ।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানাযায়, রাজাই গ্রামের ওই ধর্ষিতা নারী আজ শনিবার সকাল ৭ টায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে গেলে এই সময় রাশিদ মিয়াও ছড়ায় গোসল করতে যায়। এ সময় রাশিদ ওই আদিবাসী নারীর কাছে গোসল করার জন্য কৌশলে সাবন চেয়ে তার কাছে ঘেষে ওই আদিবাসী নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে আদিবাসী নারী রাজি না হলে জোরপূর্বক ছড়ার পাশের জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রাশিদ। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি থাকায় ওই ধর্ষিতা আদিবাসী নারী চিৎকার করলেও আশপাশের লোকজন শুনতে পায়নি। ঘটনার পর ধর্ষক রাশিদ পালিয়ে যায়। পরে বাড়িতে এসে ধর্ষিতা নারী তার পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানালে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম – ইউপি সদস্যা শুসমা জাম্ভিল ও থানা পুলিশকে অবিহিত করলে দুপুরেই থানার এস আই শাহাদত হোসাইন অভিযান চালিয়ে রাজাই গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রাশিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে। রাশিদ মিয়ার দুই স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে।
ও বড়দল উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম এ বিষয়ে বলেন, সকালে আমার ইউপি সদস্যা শুসমা জাম্বিল আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পেয়েই সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাশিদ মিয়াকে আটক করা হয়েছে।