• ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটেনে নির্বাসিত ভিন্নমতাবলম্বী, অধিকারকর্মী, সাংবাদিকরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হিট লিস্টে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ১০, ২০২১
ব্রিটেনে নির্বাসিত ভিন্নমতাবলম্বী, অধিকারকর্মী, সাংবাদিকরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হিট লিস্টে

বিবিএন ডেস্ক: ভিন্নমতাবলম্বী, অধিকারকর্মী এবং সাংবাদিকসহ বৃটেনে নির্বাসিত পাকিস্তানিরা রয়েছেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘হিট লিস্টে’। লন্ডনে নির্বাসনে বসবাস করছেন এবং সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছেন বা করছেন- এমন ব্যক্তিদের জীবন এর ফলে রয়েছে ঝুঁকিতে। ফলে নতুন করে বৃটেনে বসবাসকারী ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নয়া দিল্লিভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইন ওয়ান ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম- ডিসিডেন্টস, এক্টিভিস্টস, জার্নালিস্টস: এক্সাইলড পাকিস্তানিস ইন বৃটেন অন জেনারেল বাওয়া’জ ‘হিট লিস্ট’। এতে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে বৃটেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে গোয়েন্দা বিষয়ে। বৃটিশ নিরাপত্তা বিষয়ক সূত্রগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বৃটিশ ভূখ-ে ব্যক্তিবিশেষের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালাতে পারে পাকিস্তান। দ্য অবজার্ভারের কিয়া বেলুচ এবং মার্ক টাউনসেন্ডের মতে, এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বৃটেনের গোয়েন্দা সূত্রগুলো।

এ জন্য ইউরোপজুড়ে গোয়েন্দা সার্ভিসগুলো পাকিস্তানি ভিন্নমতাবলম্বীদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আছেন মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য।

সম্প্রতি পাকিস্তানি একজন ব্লগার ও রাজনৈতিক কর্মীকে নেদারল্যান্ডসে হত্যার ষড়যন্ত্র করার জন্য পূর্ব লন্ডনে এক ব্যক্তিতে অভিযুক্ত করা হয়। এ ঘটনার ঠিক এক মাস পরে নতুন এই তথ্য সামনে এলো। গত মাসে রিপোর্ট প্রকাশ হয় যে, নেদারল্যান্ডসে নির্বাসনে রয়েছেন পাকিস্তানি ওই ব্লগার ও রাজনৈতিক কর্মী আহমেদ ওয়াকাস গোরায়া। তাকে হত্যার চেষ্টা করে পূর্ব লন্ডনের মুহাম্মদ গোহির খান (৩১)। তার অবস্থান পূর্ব লন্ডনের ফরেস্ট গেটে। নেদারল্যান্ডস থেকে ফেরার পরই তাকে লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাস স্টেশনে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ওল্ড বেইলিতে উপস্থাপন করা হয়। পাকিস্তানে বৃটেনের সাবেক হাইকমিশনার মার্ক লিয়ল গ্রান্ট বলেছেন, যদি বৃটেনে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানিদের হুমকি দিয়ে থাকে পাকিস্তানি সেনারা তাহলে এটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া উচিত। বৃটেনের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার (এনএসএ) দায়িত্বও পালন করেছেন লিয়ল গ্রান্ট। বলেছেন, যদি বৃটেনে বেআইনি চাপ থাকে, বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, তাহলে আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এবং বৃটিশ সরকারের কাছে প্রত্যাশা করবো- এ বিষয়টি আমলে নিতে। একই সঙ্গে আইনগত এবং কূটনৈতিক যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া উচিত। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর কোনো কর্মকর্তা যদি বৃটেনে অবস্থানরত কাউকে ভীতির কারণ হয়ে থাকে, তাহলে এমন প্রমাণ বৃটেন উপেক্ষা করতে পারে না।