বিবিএন নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। জনগণের ঐক্য, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ঐক্য। যে ঐক্য একাত্তরে আমাদেরকে এক করেছিল, সেই ঐক্যই গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা, অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এই অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট তার দীর্ঘ ভাষণে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক, সরকারের সাফল্য ও চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট তার ভাষণ শুরু করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশকে জানতে হলে, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। এই দুই সত্তাকে আলাদাভাবে দেখার চেষ্টা যারা করেছেন তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আজকের বাস্তবতা এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলায়’।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ-নির্যাতন দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদে নেমে পড়েছেন। কখনো নিজের এবং পরিবারের গণ্ডির মধ্যে বাধা পড়েননি। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও গেয়েছেন বাংলা, বাঙালি আর বাংলাদেশের জয়গান। ফাঁসির সেলের পাশেই কবর খোঁড়া হচ্ছে জেনেও বাঙালির স্বাধীনতার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল ও অনড়। আজীবন বাংলা ও বাঙালিকে ভালোবেসে গেছেন, স্থান করে নিয়েছেন মানুষের মনের মণিকোঠায়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের দিনকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ডাকই দেননি বরং মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এ ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির জন্যই নয় বরং সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত-মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস।
সংসদ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, পার্লামেন্টে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে স্পিকার বিব্রত হতেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু হতেন না। উদার না হলে, গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন না হলে এটা ভাবাই যেত না। ১৯৭৩ সালে পার্লামেন্টে আতাউর রহমান খান, এমএন লারমাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন এমপি ছিলেন। তখনও দেখেছি তারা কথা বলতে চাইলেই সুযোগ পেতেন। প্রায় সময় বঙ্গবন্ধুই স্পিকারকে বলে সে সুযোগ করে দিতেন। বিরোধী দলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আলাদা একটা মনোযোগ ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক না কেন বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না বরং তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার তার জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল। প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় দেশ ও জনগণের উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও বিকাশের কথা ভাবতেন, গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্বাস করতেন সংসদীয় গণতন্ত্রে।
প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তার নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫ সালে এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ নিম্ন মধ্যআয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। কিছু কিছু সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ আজ এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। পরপর তিন বছর ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক এক-পাঁচ শতাংশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক দুই-চার শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না হলেও প্রবৃদ্ধির এ হার ছিল এশিয়া এমনকি বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বেশি। দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দুই হাজার চৌষট্টি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও এখন ৪১ বিলিয়ন ডলারের উপরে। দেশ স্বাধীন হবার সময় আমাদের গড় আয়ু ছিল ৪৭, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ বছরের উপরে। প্রাথমিক স্কুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় শতভাগ। সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়েই সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। পোশাক রপ্তানিতে এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, ছাগলের মাংস উৎপাদনে পঞ্চম, ধান উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে তৃতীয় এবং পাট রপ্তানিতে প্রথম। কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও খাদ্য উৎপাদনে আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ এখন সমাপ্তির পথে। মেট্রোরেলের কাজ চলছে, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বহুলেন টানেল নির্মাণের প্রথম টানেল সমাপ্ত হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পর এবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেস হাইওয়ের যুগে পা রাখলো বাংলাদেশ।
প্রেসিডেন্ট বলেন, এ সরকারের অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এখনো চলমান। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ বিচার অন্যতম মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জলে-স্থলে-আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করেছেন, বাংলাদেশের স্থল ও সমুদ্রসীমা স্থায়ীভাবে নির্ধারণ করেছেন। ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে যা সফলভাবে কাজ করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এদেশে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শুধু মানবিক বিবেচনায় পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এসব শরণার্থীদের নিজ দেশে সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বিশ্বফোরামে বারবার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন, গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপিত হয়েছে এবং আদালত মিয়ানমার সরকারের প্রতি প্রাথমিক কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। আমরা চাই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে যাক। জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশকে আমি এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য পুনরায় আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ইতিমধ্যে করোনায় আমরা অনেককে হারিয়েছি, যাদের মধ্যে রয়েছেন বরেণ্য রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, নার্সসহ নানা পেশা ও বয়সের মানুষ। করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমাদের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পসহ অর্থনীতির সকল সেক্টরে। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। জীবনযাত্রায় নেমে আসে অচলাবস্থা। এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান এবং প্রতিনিয়ত ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তার এই সময়োচিত সাহসী সিদ্ধান্ত এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। তার সাহসিকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক সমস্যা। একক বা আঞ্চলিক ভিত্তিতে এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আজ আমরা কেউই সুরক্ষিত নই, যতক্ষণ না পর্যন্ত সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে। গোটা বিশ্ববাসীর মতো আমরাও আশাবাদী অচিরেই করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হবে যা গোটা মানবজাতিকে এক চরম অনিশ্চয়তা, হতাশা, উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি দেবে। স্বস্তি ফিরে আসবে ঘরে ঘরে। তবে এ ভ্যাকসিন বিশ্বের সকল দেশ ও অঞ্চল যাতে একই সময়ে ও সমভাবে পায় তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। আমি জাতিসংঘসহ বহুজাতিক সংস্থা ও উন্নত বিশ্বকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এ জেনে আশাবাদী যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যথাসময়ে ভ্যাকসিন পাওয়ার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এদেশের জনগণ থাকবে, ততদিনই বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি বিশ্বকে করেছেন আলোকময়। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।(দৈনিক মানবজমিন)